২০০০ টাকার নোট বদল, আবেদন শুনতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

currency

নিষিদ্ধ হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। কারও কাছে থাকলে বদলে নেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা। তবে পরিচয়পত্র না দেখিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলের বিরুদ্ধে করা আবেদনের তাৎক্ষণিক শুনানি করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, এর আগে একটি বেঞ্চ বলেছিল যে গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে আবেদনকারীকে প্রধান বিচারপতির কাছে শুনানির জন্য অনুরোধ জানাতে হবে।

এর আগে গত ১ জুন একই বিষয়ে একটি আবেদনের তাৎক্ষণিক শুনানি করতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং কেভি বিশ্বনাথনের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলেছিল, এটা এমন কোনো বিষয় নয় যার অবিলম্বে শুনানির প্রয়োজন। সেই সময়ও বেঞ্চ আবেদনকারীকে গ্রীষ্মের ছুটির পরে শুনানির জন্য অনুরোধ করতে বলেছিল।

[আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে কি ২ হাজার টাকার নোট বদল করা যাবে? কী বলছে ডাক বিভাগ]

পরিচয়পত্র না দেখিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলের বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। আবেদনটি হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। তবে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গতবার, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর পিটিশন জমা দেওয়ার সময়, তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী এবং হাইকোর্ট তা অনুমোদন করে অন্যায় করেছে।

আরবিআই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁদের কাছে ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। পাশাপাশি, একসঙ্গে কতগুলি ২ হাজার টাকার নোট বদল করা যাবে, তার একটি সীমাও বেঁধে দিয়েছে আরবিআই।

[আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট! জানুন জমা এবং বদলের শেষ তারিখ, দৈনিক সীমা-সহ বিস্তারিত]

আরবিআই জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করা যেতে পারে। কিন্তু একসঙ্গে শুধুমাত্র ১০টি ২ হাজার টাকার নোট বা ২০ হাজার টাকা বদল করা যাবে। এ ছাড়াও আরবিআই-এর ১৯টি আঞ্চলিক অফিস থেকেও নোট বদল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট বা ২০ হাজার টাকা মূল্যের নোট বদল করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মতে, ব্যাঙ্কের দৈনন্দিন কাজের যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য নোট বদলের ক্ষেত্রে একটি সীমা (একসঙ্গে ১০টি ২ হাজার টাকার নোট) বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে নোট বদলের জন্য কেন পরিচয়পত্র লাগবে না, সেই প্রশ্ন তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী।

[আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, এ বার কি সুদের হার কমবে?]

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.