২ হাজার টাকার নোট নিয়ে একটি বড়ো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর। বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ‘গোলাপি নোট’। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। ওই সময় পর্যন্ত এই আইনত ব্যবহার করা যাবে ২ হাজার টাকার নোট।
শুক্রবার আরবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, মে থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯৩ শতাংশ ২ হাজার টাকার নোট সিস্টেমে ফিরে এসেছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩.৩২ লক্ষ কোটি মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট ফেরত এসেছে।
এখন বাইরে রয়েছে কত ২০০০ টাকার নোট
আরবিআই-এর হিসেব অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাজারে ০.২৪ লক্ষ কোটি মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে। বড় ব্যাঙ্কগুলি থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ফেরত প্রাপ্ত ২ হাজার টাকার মোট ব্যাঙ্কনোটের মধ্যে, প্রায় ৮৭ শতাংশ আমানত আকারে এবং বাকি প্রায় ১৩ শতাংশ অন্যান্য মূল্যের ব্যাঙ্কনোট হিসেবে বিনিময় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে ২ হাজার টাকার নোটের মোট মূল্য ছিল ৩.৬২ লক্ষ কোটি। ১৯ মে যা নেমে দাঁড়ায় ৩.৫৬ লক্ষ কোটি। এখনও পর্যন্ত বাজারে যে ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, সেগুলি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা অথবা বদল করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
কী ভাবে ২০০০ টাকার নোট বদল করবেন
এমনিতে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করা বা ডিপোজিটের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের চালু নিয়ম মতোই কোনো ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট নিজের অ্যাকাউন্টে ফেলতে পারেন। এটিএম কর্নারে টাকা ডিপোজিটের মেশিনে আগের নিয়ম মতোই ২ হাজার টাকার নোট জমা করা যাবে। সেক্ষেত্রেও নতুন করে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র ২ হাজার টাকার নোট বদল করার জন্য একটি সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করা যাচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে শুধুমাত্র ১০টি ২ হাজার টাকার নোট বা ২০ হাজার টাকা বদল করা যাবে। এ ছাড়াও আরবিআই-এর ১৯টি আঞ্চলিক অফিস থেকেও নোট বদল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট বা ২০ হাজার টাকা মূল্যের নোট বদল করা যাবে।
আরও পড়ুন: গোল্ড লোনে খেলাপি হলে ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব পড়ে কি?