দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার মানুষকে নোটিশ পাঠাচ্ছে আয়কর বিভাগ। একটি রিপোর্ট অনুসারে, আয়কর বিভাগ মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের করদাতাদের ধারা ১৪৩ (১)-এর অধীনে একটি ট্যাক্স নোটিশ পাঠিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট নোটিশে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ওই করদাতারা কেন তাঁরা ধারা ৮০পি-এর অধীনে ডিকাকশনের দাবি জানিয়েছেন। আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, যে সমস্ত করদাতা নোটিশ পাচ্ছেন, তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তর না দিলে করদাতারা ফের নোটিশ পেতে পারেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আয়কর আইনের এই ধারার অধীনে, শুধুমাত্র সমবায় সমিতিগুলি ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারে। তবে সেটা তখনই সম্ভব, যখন তারা ব্যাঙ্কিং বা ঋণ সুবিধা, কৃষিকাজ এবং কার্টেজ শিল্প থেকে আয় করে।
অমদাবাদ-ভিত্তিক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজু শাহের মন্তব্য উদ্ধৃত করে মানিকন্ট্রোল-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধারা ৮০পি ছাড় দাবি করার জন্য ১৪৩(১)(এ) ধারার অধীনে ভুল নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এই নোটিশগুলি সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে নয়, ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। কারণ, সমবায় ব্যাঙ্কগুলি এই ধারার অধীনে ছাড় দাবি করেছে। তবে ভুল করে অনেকেই একাধিক ধারায় করছাড়ের দাবিও করে থাকেন।
ইমেলে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সালের মূল্যায়ন বছরের জন্য ধারা ৮০পি-র অধীনে ছাড় দাবি করা যাবে না এবং সংশ্লিষ্ট করদাতাদের ১৫ দিনের একটি সময়সীমার মধ্যে জবাব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: গৃহঋণে সুদের হার বাড়াল আইসিআইসিআই, পিএনবি, বাড়বে ইএমআই