সোমবার সোনার দামে কিছুটা মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে। আজ, এমসিএক্স-এ সামান্য পতনের সঙ্গে লেনদেন হচ্ছে। তবে এর পরেও, হলুদ ধাতুর দাম নিজের উচ্চ স্তর থেকে দূরে নয়। কয়েক বছর ধরে সোনার দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এবং উচ্চ রিটার্ন পাওয়া বিনিয়োগ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আজকের ট্রেডিংয়ে, এমসিএক্স-এ সোনা ০.৪৬ শতাংশ পড়ে গেলেও ৭১,৩৫০ টাকার উপরে রয়েছে (প্রতি ১০ গ্রাম)। গত এক-দুই সপ্তাহে সোনার দাম কিছুটা নরম হয়েছে। তার আগে, সম্প্রতি সোনা নিজের সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল এবং এর দাম ১০ গ্রাম প্রতি ৭৪ হাজার টাকায় পৌঁছেছিল।
গত কয়েক বছরে হলুদ ধাতু বিনিয়োগকারীদের যে ধরনের চমৎকার রিটার্ন দিয়েছে তা অনুমান করা যায় শেষ কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে। গত ৯ বছরে সোনার দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ২০১৫ সালে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ২৪,৭৪০ টাকার কাছাকাছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৪ হাজার টাকা ছাড়িয়েছিল। এটি ৯ বছরে ১৯৯.১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূল্যবান এই ধাতুর রিটার্ন আগেও একই রকম হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ২০১৫ সালে সোনার দাম ছিল ২৪,৭৪০ টাকা, তার ৯ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৬ সালে প্রতি ১০ গ্রাম মাত্র ৮,২৫০ টাকায় পাওয়া যেত। অর্থাৎ ওই ৯ বছরে সোনার দাম বেড়েছে ১৯৯.৮৮ শতাংশ, সে হিসেবে বলা যায় প্রতি ৯ বছরে তিন গুণ রিটার্ন দিতে সফল হয়েছিল সোনা।
সোনার দাম বাড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা। প্রতি কয়েক বছর পর বিশ্বের কোনো না কোনো স্থানে উত্তেজনা বাড়ে, যার কারণে সোনার দাম বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোর কথা বললে, ইজরায়েল-ইরান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চিন-তাইওয়ানের মতো ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সোনার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তেজনা এভাবে চলতে থাকলে এবার সোনার দাম তিনগুণ হতে ৯ বছরও সময় লাগবে না। অর্থাৎ, খুব তাড়াতাড়ি প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।