হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডের উপর আস্থা বাড়ছে, বিনিয়োগ এসেছে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার

mutual fund

গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে, হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগের পরিমাণ ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই স্কিম থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। তবে, সেই চিত্র এখন বদলে গিয়েছে, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা পৌঁছেছিল ১.৩৫ কোটিতে। যা এক বছর আগে ছিল ১.২১ কোটি। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে ক্রমশ ঝোঁক বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের শুরু থেকে ঋণ তহবিলের জন্য ট্যাক্সে পরিবর্তনের পর থেকে বিভাগটি নিয়মিত বিনিয়োগ টেনে চলেছে।

এর আগে গত মার্চ মাসে হাইব্রিড ফান্ডে ১২ হাজার ৩৭২ কোটির নেট আউটফ্লো দেখা গিয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড ইন ইন্ডিয়া (Amfi)-এর তথ্য অনুসারে, হাইব্রিড ক্যাটাগরি গত আর্থিক বছরে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ টেনেছিল, যেখানে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১৮ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

যে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে সেগুলিকে হাইব্রিড বলা হয়। ঝুঁকির কারণে অনেকে সোনায় বিনিয়োগ করে। তবে, সাধারণ মিউচুয়াল ফান্ডে অনেক ধরণের সম্পদ শ্রেণিতে বিনিয়োগ করা যায়। প্রতিটি হাইব্রিড ফান্ডের বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে ইক্যুইটি এবং ঋণের একটি ভিন্ন সমন্বয় রয়েছে। আপনি যদি কম ঝুঁকি নিতে চান, তাহলে হাইব্রিড ফান্ডে বিনিয়োগ করা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে বলে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু মিউচুয়াল ফান্ড শুধুমাত্র শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে, ফলে বাজারের উত্থান-পতনে প্রভাবিত হয় সেগুলি। কিন্তু, বাজারের পরিবেশ খারাপ হলে, হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড ঋণ ও সোনায় বিনিয়োগ করা অর্থ দ্বারা ক্ষতিপূরণ দেয়। একইভাবে, সোনা যদি কম রিটার্ন দেয়, তবে এটি ডেট এবং ইক্যুইটির মাধ্যমে সেই ক্ষতি পূরণ করে।

হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ড কী?

হাইব্রিড ফান্ড হল সেই মিউচুয়াল ফান্ড যা একই সঙ্গে ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে। ইক্যুইটি এবং ডেট ছাড়াও, বিভিন্ন হাইব্রিড ফান্ড তাদের তহবিল সোনার মতো সম্পদেও বরাদ্দ করে।

এই সমস্ত কারণে, বিনিয়োগকারীরা হাইব্রিড ফান্ডে আরও ভাল সুবিধা পেয়ে থাকেন। হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সেই সব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভালো বিকল্প হয়ে ওঠে যাঁরা কম ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে। কারণ বিভিন্ন পোর্টফোলিওর কারণে, এই ফান্ডের ওঠানামা তুলনামূলক ভাবে কম।

আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতি কী ভাবে চিনকে পিছনে ফেলছে? ব্যাখ্যা আইএমএফ আধিকারিকের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.