সেনসেক্স ৮০,০০০ পয়েন্টের গণ্ডি পার করায় বেজায় খুশি বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে নিফটিও ২৪,০০০- এর উপরে। কিন্তু এরই মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা কুরে খাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। বাজার এই সর্বকালীন সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে কখন না আবার ধপাস করে পড়ে যায়! তাহলে কি হাতে সময় থাকতে লাভের মুখ দেখা স্টলগুলো বিক্রি করে দেওয়াই ভালো?
এখন স্টক মার্কেটের প্রায় সমস্ত সূচকই সর্বকালীন সর্বোচ্চ উচ্চতায় রয়েছে। অধিকাংশ স্টক উচ্চ পর্যায়ে লেনদেন করছে। এই উচ্ছাস মিলিয়ে যাবে না তো? বিশেষ করে এই অবস্থান থেকে বাজারের সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় বাঁধা।
তবে একাংশের বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ার বিক্রি করার জন্য এখনই তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, কারণ আর কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো নিজেদের ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের আয় – ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্ট থেকে আবারও নতুন করে উজ্জীবিত হতে পারে শেয়ার বাজার। তবে স্টক মার্কেটে সবকিছুই অনিশ্চিত। যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যাওয়া কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শেয়ারবাজারকে নীচের দিকে টেনে নামিয়ে আনতে পারে।
শেয়ার বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, একটা পরিপাটি মনোভাব দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সূচকে। ফলে এখনই অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সূচকগুলির এমন অবস্থানে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়, পরিবর্তে নিজেদের আর্থিক লক্ষ্যের দিকে ফোকাস করা দরকার বিনিয়োগকারীদের। এমন একটা লক্ষ্য দরকার, যেখানে সেনসেক্স ৭৯,০০০- এর হাজারের নীচে নেমে যাক বা ৮০,০০০- এর উপরে উঠে যাক না কেন, আর্থিকভাবে লোকসানের কোন ঝুঁকি থাকবে না।
প্রথাগত বিনিয়োগকারীরা সবসময়ই ভারসাম্য বজায় রেখে চলেন। প্রায় সমস্ত স্টক সর্বোচ্চ পর্যায়ে লেনদেন করলে নতুন করে স্টক কিনতে হলে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই ব্যবধান ঘোচাতে ছোট ছোট প্রফিট বুকিং করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু স্টকে আংশিক মুনাফা তুলে নিয়ে পুন: বিনিয়োগের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: নিজের পিএফ অ্যাকাউন্টে খেয়াল করুন, এই নিয়মটি পাল্টেছে ইপিএফও