সারা দেশে মশলা এবং বেবি ফুড পরীক্ষা করা হবে, বড় সিদ্ধান্ত FSSAI-এর

baby food

অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। এফএসএসএআই সারা দেশ থেকে সমস্ত ব্র্যান্ডের এই পণ্যগুলির নমুনা সংগ্রহ করবে এবং সেগুলি পরীক্ষা করবে। সম্প্রতি এভারেস্ট ও এমডিএইচ মশলায় পাওয়া কীটনাশকের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ফুড এজেন্সি এভারেস্ট-এর ফিশ কারি মশলায় ইথিলিন অক্সাইড খুঁজে পেয়েছিল। এরপর সিঙ্গাপুরে ওই সংস্থার মশলা নিষিদ্ধ করা হয়।

একজন সিনিয়র আধিকারিক লাইভ মিন্ট-কে জানিয়েছেন যে এফএসএসএআই এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্যের খাদ্য কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি জানান, এসব কোম্পানির উৎপাদন ইউনিট থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এগুলি কীটনাশক ইথিলিন অক্সাইড পরীক্ষা করতে সক্ষম একটি ল্যাবে পাঠানো হবে। তদন্তে কমপক্ষে ২০ দিন সময় লাগবে। বিদেশের বাজারে একই কীটনাশক পাওয়ায় সম্প্রতি দেশের বড় বড় মশলার ব্র্যান্ডগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে এসব ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেবি ফুডে চিনি বিতর্ক

নেসলে-এর সেরেলাক ব্র্যান্ডে চিনির পরিমাণ নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল। সুইস তদন্ত সংস্থা পাবলিক আই বলছে, নেসলে ভারতে চিনি যুক্ত পণ্য বিক্রি করছে। একবারে বাচ্চাদের যে পরিমাণ সেরেলাক খাওয়ানো হয় তাতে ৩ গ্রাম যুক্ত চিনি থাকে। তাই, এফএসএসএআই পরীক্ষার জন্য নেসলের বিখ্যাত পণ্য সেরেলাকের নমুনাও নিয়েছে। এছাড়া শিশুদের পণ্য বিক্রিকারী অন্যান্য কোম্পানির পণ্যের নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।

মশলায় রাসায়নিক বিতর্ক

সেন্টার ফর ফুড সেফটি (CFS) ৫ এপ্রিল ঘোষণা করেছে যে এমডিএইচ-এর তিনটি পণ্য – ‘মাদ্রাজ কারি পাউডার’, ‘মিক্সড মসালা পাউডার’, এবং ‘সাম্ভর মসালা’ – এবং এভারেস্টের ‘ফিশ কারি মসালা’য় ইথিলিন অক্সাইড, একটি কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ একটি কীটনাশক শনাক্ত করেছে।

সিএফএস বলেছে, তারা রুটিন মাফিক বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে। সেই কর্মসূচির অধীনে চারটি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করার পর ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে তারা। এই রাসায়নিক মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুপযুক্ত। হংকং-এর আইন অনুযায়ী, নিরাপদ সীমা অতিক্রম করে এমন কীটনাশকযুক্ত খাদ্যপণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়।

মশলাগুলি নিষিদ্ধ করার সঙ্গেই বিক্রেতাদের উদ্দেশেও পরামর্শ জারি করেছে সংস্থা। বলা হয়েছে, বিক্রেতারা যেন নিজেদের দোকান থেকে এ ধরনের পণ্যগুলি সরিয়ে ফেলেন। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে “যথাযথ ব্যবস্থা” নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিমা এ বার করা যাবে যে কোনো বয়সে, পলিসি কিনতে পারবেন অসুস্থ ব্যক্তিরাও

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.