সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS), পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC), বা অন্যান্য পোস্ট অফিস স্কিমের মতো স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁরা পোস্ট অফিসে বা ব্যাঙ্কে নিজের আধার নম্বর জমা দিয়েছেন। নইলে গচ্ছিত টাকা ফ্রিজ হয়ে যাবে।
সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
পোস্ট অফিস অথবা ব্যাঙ্কে এ ধরনের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলি চালু রাখতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাখায় গিয়ে আধার নম্বর জমা করতে হবে। যদি এই তারিখের মধ্যে আধার নম্বর না দেওয়া হয়, তা হলে আধার নম্বর জমা না হওয়া পর্যন্ত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে আপনার বিনিয়োগ ফ্রিজ হয়ে যাবে।
পিপিএফ, এনএসসি এবং অন্যান্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের জন্য আধার এবং প্যান বাধ্যতামূলক করেছে অর্থমন্ত্রক। ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সে কথা জানানো হয়েছিল। বর্তমানে যাঁরা এ ধরনের প্রকল্পে টাকা সঞ্চয় করেন, তাঁদের জন্য আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করেছে মন্ত্রক।
আধার নম্বর জমা দেওয়ার জন্য ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “ইতিমধ্যেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এমন আমানতকারী যদি এখনও পর্যন্ত নিজের আধার নম্বর জমা না দিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁকে ১ এপ্রিল থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই কাজটি সেরে ফেলতে হবে।”
অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হলে কী অসুবিধা হবে
- সুদ বকেয়া থাকলে তা বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে জমা হবে না।
- পিপিএফ বা সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে।
- অ্যাকাউন্টে ম্যাচিউরিটির টাকা জমা হবে না।
- যদি বরাদ্দকৃত ছয় মাসের মধ্যে আধার নম্বর জমা করতে ব্যর্থ হন, তা হলে আধার নম্বর না জমা করা পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে টাকাপয়সা সম্পর্কিত এই ৬টি কাজে বড় বদল! জেনে রাখা ভালো