আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অনেকেই গোল্ড নিয়ে থাকেন। আচমকা টাকার প্রয়োজনে সোনা বিক্রি করে দেওয়ার চেয়ে তা বন্ধক রেখে টাকা ধার নেওয়াকে ভালো বলেই মনে করেন তাঁরা। ব্যাঙ্ক অথবা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সোনার গয়না বন্ধক রেখে এই লোন নেওয়া যায়। সাধারণ সুদের হার অনুযায়ী, গোল্ড লোন অনেকটাই সাশ্রয়কর পার্সোনাল লোনের তুলনায়। তবে অন্য যে কোনো ঋণের মতোই পরিশোধ শর্ত মেনেই করতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রেডিট স্কোর এবং গোল্ড লোনের আবেদন মঞ্জুরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে এর প্রভাব পড়তে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে এর প্রভাব পড়ে?
ভারতে গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থাগুলি সাধারণত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার বিষয়ে ক্রেডিট ব্যুরোতে একটি নোটিশ পাঠায়। ক্রেডিট ব্যুরো তখন সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা বা এনবিএফসি-গুলিকে এ ব্যাপারে অবহিত করে। এর ফলে ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব পড়তে পারে। এটা হলে ভবিষ্যতে ঋণের জন্য আবেদন করার সম্ভাবনা বাধার মুখে পড়ে। কোনো ভাবে যদি ঋণ দেওয়াও হয়, তা হলে চেপে বসে উচ্চ সুদের হার।
মনে রাখবেন, ঋণদাতারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থা এবং কোনো ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ডিফল্টের লিখিত নোটিশ দিয়ে থাকে। প্রাথমিক ভাবে তারা ঋণগ্রহীতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে বা তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায় না। পরিবর্তে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য একটি নির্দিষ্ট নোটিশ সময় অফার করে।
ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা পার করলে বা গোল্ড লোনে ডিফল্ট হলে পরবর্তী পর্যায়ে ইমেল, এমএসএস, ফোন করে এবং এমনকী চিঠির মাধ্যমে বারবার যোগাযোগ করবে বলে ধরে নেওয়া যায়। অর্থাৎ, ঋণ পরিশোধে ব্যাঘাত ঘটলে গ্রাহককে সবরকম ভাবে অবহিত করা হয়। এক্ষেত্রে একজন ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে হবে। কী ভাবে, কত দিনের মেয়াদে ঋণের টাকা মেটাতে পারবেন, সেসব নিয়ে ঋণদাতার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষাঋণ নিতে চান? আগে বিবেচনা করুন এই বিষয়গুলি