২ হাজার টাকার নোট নিয়ে একটি বড়ো ঘোষণা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর। বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ‘গোলাপি নোট’। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। ওই সময় পর্যন্ত এই আইনত ব্যবহার করা যাবে ২ হাজার টাকার নোট।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, মে থেকে এখনও পর্যন্ত, অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ২ হাজার টাকার নোট সিস্টেমে ফিরে এসেছে।
গত ৮ জুন চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সময়, গভর্নর বলেন, প্রায় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকার ২ হাজারের নোট এখনও পর্যন্ত সিস্টেমে ফিরে এসেছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট নোটের মাত্র ৫০ শতাংশ বাজারে ছিল। এতে প্রায় ৮৫ শতাংশ নোট জমা হয়েছে। বাকি নোটগুলো এখনও বাজারে চলছে। তার মানে এখনও পর্যন্ত মানুষের হাতে রয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ ২ হাজারের নোট।
নোট বদলের সময়সীমা বাড়বে কি?
২ হাজার টাকার নোট বিনিময় বা জমার শেষ দিন ৩০ সেপ্টেম্বর। ঘোষণার পর পরই নোট জমা দেওয়ার হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে আরবিআই গভর্নর বলেন, সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঠিকই, তবে তা অনড় নয়। টাকা জমা বা বিনিময়ের জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত মুদ্রানীতি বৈঠকে রেপো রেট স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় আরবিআই গভর্নর বলেছিলেন যে নোট প্রত্যাহারের ফলে আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রভাবিত হবে না।
অন্য দিকে, ২০০০ টাকার নোট নিয়ে এই সিদ্ধান্তের পর সাধারণের ব্যয় বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে, অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রেপো রেট বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এই মুহূর্তে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ।
কী ভাবে ২০০০ টাকার নোট বদল করবেন
এমনিতে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করা বা ডিপোজিটের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের চালু নিয়ম মতোই কোনো ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট নিজের অ্যাকাউন্টে ফেলতে পারেন। এটিএম কর্নারে টাকা ডিপোজিটের মেশিনে আগের নিয়ম মতোই ২ হাজার টাকার নোট জমা করা যাবে। সেক্ষেত্রেও নতুন করে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র ২ হাজার টাকার নোট বদল করার জন্য একটি সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করা যাচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে শুধুমাত্র ১০টি ২ হাজার টাকার নোট বা ২০ হাজার টাকা বদল করা যাবে। এ ছাড়াও আরবিআই-এর ১৯টি আঞ্চলিক অফিস থেকেও নোট বদল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট বা ২০ হাজার টাকা মূল্যের নোট বদল করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মতে, ব্যাঙ্কের দৈনন্দিন কাজের যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য নোট বদলের ক্ষেত্রে একটি সীমা (একসঙ্গে ১০টি ২ হাজার টাকার নোট) বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: LIC ‘Dhan Vriddhi’ plan: এলআইসি নিয়ে এল নতুন বিমা পলিসি, জানুন সুবিধা-সহ বিস্তারিত