ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সময়সীমা ৭ দিন বাড়ল। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩), বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)। ফলে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে। তবে সমস্ত ব্যাঙ্কে এই নোট বদল হবে না।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকা নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে বলে আগে জানিয়ে দিয়েছিল আরবিআই। গত ১৯ মে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই মর্মে জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। শনিবার সেই সময়সীমা বাড়ানো হল। ৮ অক্টোবর থেকে আর গৃহীত হবে না ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন বৈধ থাকবে। আরবিআই-এর ১৯টি দফতরে গিয়ে নোট পাল্টে নেওয়া যাবে। ডাকযোগে আরবিআই-এর দফতরে পাঠিয়েও পুরনো নোট বদলে নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
চলতি বছরের ১৯ মে আরবিআইয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে ২ হাজার টাকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করা বা ডিপোজিটের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের চালু নিয়ম মতোই কোনো ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট নিজের অ্যাকাউন্টে ফেলতে পারেন। এটিএম কর্নারে টাকা ডিপোজিটের মেশিনে আগের নিয়ম মতোই ২ হাজার টাকার নোট জমা করা যাবে। সেক্ষেত্রেও নতুন করে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র ২ হাজার টাকার নোট বদল করার জন্য একটি সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
গত ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করা শুরু হয়। কিন্তু একসঙ্গে শুধুমাত্র ১০টি ২ হাজার টাকার নোট বা ২০ হাজার টাকা বদল করা যাবে আজ পর্যন্তই। এ ছাড়াও আরবিআই-এর ১৯টি আঞ্চলিক অফিস থেকেও নোট বদল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে ২ হাজার টাকার ১০টি নোট বা ২০ হাজার টাকা মূল্যের নোট বদল করা যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ১০০ এবং ৫০০ টাকার নোটকে বাতিল বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন মধ্যরাত থেকেই ওই মূল্যের নোট বাতিল হয়ে যায়। তার পর বাজারে নতুন ২০০০ টাকার নোট আনা হয়। নোটবন্দির পর বাজারে অর্থের জোগান দিতেই বড় অঙ্কের ওই নোট চালু করে সরকার।
আরও পড়ুন: বিদায় ২০০০! শনিবারই নোট বদলের শেষ দিন