বিবিডেস্ক: ২০১৯-এর প্রথম সাত মাসের শেয়ার বাজার দেখেছে হরেক রকমের উত্থান-পতন। সর্বকালীন সেরা উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ার পরে একাধিক বার পাহাড়প্রমাণ পতনের সম্মুখীন হয়েছে শেয়ার বাজারের মূল সূচক সেনসেক্স অথবা নিফটি। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই বড়োসড়ো ধাক্কা খেয়েছে দুই সূচক। হাতে থাকা দিনগুলোতেও যন্ত্রণা আর গভীর হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
এফপিআইগুলিকে আয়কর সারচার্জ থেকে ছাড় দিতে পারে সরকার। এমনটাই আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলিতে ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিংকে ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব বাতিল করার খবরে শুক্রবারের শেয়ার বাজার শেষ লগ্নে চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার যদি এই পদক্ষেপগুলিকে ফিরিয়ে নেয় অথবা সুবিধায় ছাঁটাই করে, তা হলে শেয়ার বাজারের পতন নিশ্চিত বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। সোমবার বাজারে ধাক্কার অনেকটাই অবশ্য এসেছে কাশ্মীর নিয়ে চাপান-উতোরও।
একই সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর নীতি নির্ধারণ বৈঠক, মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন, উপার্জন এবং বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহও শেয়ার বাজারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে। সব মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে বাজারে থাকছে টানাপোড়েনের ঘনঘটা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরবিআই বৈঠক
আগামী বুধবার আরবিআই কি বছরের চতুর্থবার সুদের হার কমানোর পথে যাবে? অর্থনীতিবিদ এবং বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সম্ভবত হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতিতে দুর্বলতার সুস্পষ্ট লক্ষণের কারণে আরবিআই ফের সুদের হার কমাতে পারে। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬৬ জন অর্থনীতিবিদের ৮০ শতাংশই আশা করেছেন আরবিআই রেপো রেট ২৫ বিপিএস কমিয়ে দিতে পারে। যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তা হলে বাজারের আনন্দিত হওয়ার কারণ থাকবে।
জুন ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট পেশ
সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে একাধিক বৃহত্তম সংস্থা। যাদের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়াবুলস হাউজিং ফিনান্স, টাইটান, এইচসিএল টেকনোলজিস, মাহিন্দ্রা ও মাহিন্দ্রা, টাটা স্টিল, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, বিপিসিএল, ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার এবং গেইল। রিপোর্টে সংস্থাগুলির মুনাফা অথবা লোকসানের পরিসংখ্যান বাজারকে ভারী করে তুলতে পারে। এখনও পর্যন্ত যে সংস্থাগুলি নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ফলাফল মিশ্র। বাকিদের দিকে তাকিয়ে বিনিয়োগকারীরা।
অপরিশোধিত তেলের দাম
আমেরিকা-চিন বাণিজ্যযুদ্ধের স্নায়ুচাপ অব্যাহত। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছয় সপ্তাহের সর্বনিম্নে গিয়ে ঠেকেছিল। ৫৪ পয়সা কমে ডলার তুলনায় টাকার দাম পৌঁছায় ৬৯.৬০ টাকায়। ওই দিন অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছিল ৩ শতাংশ। বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও চড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। এক দিকে তেলের দাম বৃদ্ধি অন্য দিকে ডলারের তুলনায় টাকার পতন বিনিয়োগকারীদের চিন্তায় চাপ বাড়াতে পারে।