বিবিডেস্ক: আয়কর দাখিল বা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (আইটিআর) ফাইল করতে গিয়ে যে কোনো ব্যক্তিই কর বাঁচানোর পথ বা উপায় খুঁজবেন, এটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে কষ্টার্জিত অর্থের সুষম বণ্টনে একটি পৃথক মেডিক্লেম পলিসি থেকেও কর বাঁচানোর আইনানুগ পথ রয়েছে। যা আয়কর দাখিলের সময়ই উল্লেখ করতে হবে।
কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো আয়কর প্রদানকারী তাঁর বা তাঁর পরিবারের জন্য পৃথক মেডিক্লেম পলিসি করে থাকেন, তা হলে আয়কর আইন মেনেই তিনি মেডিক্লেমে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে করছাড়ের দাবি করতে পারেন। স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম হিসাবে দেওয়া টাকা ভারতীয় আয়কর আইনের ৮০ডি ধারায় নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত করছাড়যোগ্য।
তবে, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের ৬০ বছরের নীচের বয়সি বাবা-মায়ের জন্য মেডিক্লেম পলিসিতে টাকা বিনিয়োগ করেন, তা হলে সেখান থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুযোগ পাবেন। অন্য দিকে যদি কোনো ব্যক্তি নিজের প্রবীণ নাগরিক বাবা-মায়ের জন্য মেডিক্লেমে টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুযোগ পেয়ে যাবেন।
বিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, এক জন প্রবীণ নাগরিক যদি নিজে মেডিক্লেম করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তিনি এই ৫০ হাজার টাকার করছাড়ের আওতায় পড়েন না। কিন্তু কোনো চাকরিজীবী ব্যক্তি যদি নিজের প্রবীণ নাগরিক বাবা-মায়ের জন্য মেডিক্লেম করান, সে ক্ষেত্রে এই ছাড়ে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। এখানে সরকার কিন্তু মোটেই করের অর্থ হারাচ্ছে না। উলটো দিকে চাকরিজীবী সন্তান বাবা-মায়ের মেডিক্লেমে অর্থ বিনিয়োগ করে আয়কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন।
সব মিলিয়ে কত ছাড়
আয়কর আইনের ৮০ডি ধারায় মেডিক্লেমে ছাড়ের সুযোগ মিলে থাকে। প্রথমত, কোনো ব্যক্তি তাঁর অথবা তাঁর পরিবারের মেডিক্লেমের উপর ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড় পেতে পারেন। একই সঙ্গে বাবা-মা ৬০ বছরের নীচের বয়সি হলে ছাড় ২৫ হাজার টাকা। অন্য দিকে যদি বাবা-মায়ের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে অর্থাৎ, প্রবীণ নাগরিক হন, তা হলে করছাড় মিলবে ৫০ হাজার টাকার উপর। সব মিলিয়ে মেডিক্লেম থেকে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকার করছাড়ের সুযোগ পেতে পারেন।