মোবাইল ডেটার গতিতে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটি এক ধাক্কায় ৬৯তম স্থান থেকে পৌঁছেছে ৪৯তম স্থানে। এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতে চালু হওয়া ফাইভ-জি (5G) পরিষেবা।
২০২২ সালের অক্টোবরে ভারতে ফাইভ-জি পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহত্তর অংশের কাছে এখনও পৌঁছাতে পারলেও রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) উচ্চগতির ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করেছে। Ookla-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ফাইভ-জি চালু হওয়ার ফলে ভারতে মোবাইল ডেটার গতি ১১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ গতি বৃদ্ধির ফলে জি-২০ (G20)-র কিছু দেশ এবং প্রতিবেশী দেশ, যেমন রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। Ookla-এর প্রতিবেদনে Jio এবং Airtel-এর কর্মক্ষমতাও বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে জিও-র প্রাথমিক গ্রহণকারীরা হিমাচলপ্রদেশে ২৪৬.৪৯ এমবিপিএস (Mbps) মিডিয়ান ডাউনলোড স্পিড থেকে কলকাতায় ৫০৬.২৫ এমবিপিএস পর্যন্ত ডেটা স্পিড পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে কলকাতায় এয়ারটেলের প্রাথমিক মিডিয়া ডাউনলোড স্পিড ৭৮.১৩ এমবিপিএস বেড়েছে।
গত বছর যখন ফাইভ-জি প্রাথমিক ভাবে চালু করা হয়েছিল, তখন ফাইভ-জি ব্যবহারে সক্ষম ডিভাইসগুলিতে নেটওয়ার্ক কর্মক্ষমতার মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান ছিল। যাইহোক, জানুয়ারী ২০২৩-এ, সমস্ত টেলিকম সার্কেল জুড়ে মিডিয়ান ফাইভ-জি ডাউনলোডের গতি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ব্যতীত সর্বত্র ২০০ এমবিপিএস ছাড়িয়েছে, কলকাতার ক্লকিং গতি ৫০০ এমবিপিএস-এর বেশি।
শুধু তাই নয়, ফাইভ-জি চালু হওয়ার পর থেকে ইন্টারনেট ডিসকানেকশনও কমেছে। যে কারণে, এখনও পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু না করার জন্য ভোডাফোন আইডিয়া উল্লেখযোগ্য ভাবে গ্রাহক হারিয়ে চলেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই (TRAI)-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভোডাফোনের একটা বড়ো অংশের গ্রাহক জিও এবং এয়ারটেলে চলে গিয়েছে। ডিসেম্বরে প্রায় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে ভিআই (Vi)। উল্টো দিকে এই সময়ের মধ্যে জিও এবং এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৪২ কোটি ৪৫ লক্ষ ১০ হাজার এবং ৩৬ কোটি ৭৬ লক্ষ।
ভারতী এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও উভয় সংস্থারই গ্রামীণ গ্রাহক বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তথ্য অনুযায়ী, এই সময়কালে এয়ারটেল এবং জিও-র গ্রামীণ গ্রাহক বেড়েছে যথাক্রমে সাড়ে ৮ লক্ষ এবং সাড়ে ৫ লক্ষ। যেখানে ভোডাফোন আইডিয়া হারিয়েছে ১৬ লক্ষ গ্রামীণ গ্রাহক।
আরও পড়ুন: চেক বাউন্স হলে অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আদায়, নতুন নিয়ম আনছে কেন্দ্র