বিবি ডেস্ক: চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতার বেশির ভাগ জায়গাতেই পাওয়া যাবে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)-র ফাইভ-জি (5G) পরিষেবা। তবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই পুরো কলকাতা এই পরিষেবার আওতায় আসবে বলে সোমবার জানাল সংস্থা। এ দিন জিও-র তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই কলকাতায় নিজেদের বিভিন্ন ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
প্রতিদিনের ভিত্তিতে বাড়ছে কভারেজ
কলকাতা ছাড়াও শিলিগুড়িতেও হাই-স্পিড ডেটা পরিষেবা পাবেন জিও ফাইভ-জি ব্যবহারকারীরা। রিলায়েন্স জিও-র এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশব্যাপী পরিষেবার অংশ হিসাবে শিলিগুড়িতে ফাইভ-জি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছে এয়ারটেল (Airtel)। অন্য দিকে, কয়েকটি শহরে নিজের পরিষেবা শুরু করেছে জিও। এখন ধীরে ধীরে নিজের কভারেজ প্রসারিত করছে সংস্থা। ওই আধিকারিক বলেন, ” শীঘ্রই শিলিগুড়িতে ফাইভ-জি চালু করব। কলকাতায়, বর্তমানে প্রতিদিনের ভিত্তিতে কভারেজ বাড়ানো হচ্ছে। শহরের প্রধান অংশগুলি ডিসেম্বরের মধ্যে কভার করা হবে এবং ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে”।
এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে সরকারি কর্তারা
সোমবার রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব রাজীব কুমার-সহ বিভিন্ন দফতরের বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক পৌঁছোন জিও-র এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে। সামনে ফাইভ-জি পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় তাঁদের সামনে। অত্যাধুনিক ফাইভ-জি প্রযুক্তির ক্ষমতা এবং বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিসে কী ভাবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে, সে সবই তাঁদের বোঝানো হয়। জিও-র ওই আধিকারিক বলেন, “আমরা তাঁদের সামনে কৃষি, শিক্ষা, স্মার্ট অফিস এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ডে বাড়তি সম্ভাবনার সমাধান প্রদর্শন করেছি।”
সবচেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে জিও
ফাইভ জি স্পেকট্রামের সবচেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ অম্বানির সংস্থা জিও। তারা ফিফথ জেনারেশন বা ফাইভ-জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে। মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়। আশা করা হচ্ছে, ফাইভ-জি প্রযুক্তি মোবাইল যোগাযোগ এবং ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ফোর-জি-র তুলনায় অনেক দ্রুত গতি প্রদান করবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ফাইভ-জি রোলআউট অন্যান্য সুবিধার প্রচারের মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট অফ থিংস গ্রহণকে ত্বরান্বিত করবে।
আরও পড়ুন: বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনছেন, ঝুঁকি এড়াতে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন