দেশের ৩৬৫টি শহরে ফাইভ-জি (5G) পরিষেবা চালু করে দিয়েছে রিলায়েন্স জিও ইনফোকম (Reliance Jio Infocomm)। সদ্য তামিলনাড়ুর আটটি-সহ আরও ৩৪টি শহরে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করেছে সংস্থা।
রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের চেয়ারম্যান আকাশ এম আম্বানি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “বিশ্বের বৃহত্তম স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচারের সঙ্গে দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর নেতৃত্ব দিচ্ছে জিও। এই ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রকৃত অর্থে প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করার জন্য অনন্য ভাবে উপযুক্ত”।
তাঁর কথায়, আধুনিক সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে এমন প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত তালিকায়, ফাইভ-জি সম্ভবত তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই পরিষেবাকে অবলম্বন করে স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, কৃষি, স্মার্ট শহর এবং পরিকাঠামো, বিনোদন এবং উৎপাদনের মতো সেক্টর জুড়ে বাজারের জন্য তাদের পথ খুঁজে পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জিও এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) হল প্রথম টেলিকম অপারেটর যারা ২০২২ সালের অক্টোবরে এ দেশে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি শহরে জিও-র এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে মুকেশ অম্বানির (Mukesh Ambani) কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গাতে ফাইভ-জি পরিষেবা শুরু করেছে জিও। সবচেয়ে প্রথমে কলকাতা, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে ফাইভ জি পরিষেবা চালু করেছিল জিও।
এরপরে এই রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও জিও ফাইভ জি পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের অধীনে বর্ধমান, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, খড়গপুর ও হাবড়ার মতো স্থানে ফাইভ জি পরিষেবা লঞ্চ করে জিও। ফলস্বরূপ, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকার মানুষ ফাইভ-জি পরিষেবার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে আর প্রি-ইন্সটল করা অ্যাপ নয়! নিয়ম বাধ্যতামূলক করছে কেন্দ্র