চায়ের কাপে চুমুক হোক বা বাচ্চার জন্য কেনা চকোলেট। বাড়তি পয়সা গুনতে হতে পারে খুব শীঘ্রই। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তে বাড়তে এখন ৬ বছরের সর্বোচ্চ।
আগামী দিনে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার জোরালো প্রভাব পড়তে চলেছে বিস্কুট-কুকিজ থেকে শুরু করে মিষ্টি ও কোল্ড ড্রিঙ্কসেও। পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের ফিউচার মার্কেটে চিনির দাম ছয় বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় লেনদেন করছে।
এমনিতে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে দেশে এত পরিমান চিনি উৎপাদিত হলেও, দেশীয় বাজারে চিনির দাম ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির জোগান এবং দাম ঠিক রাখতে গত বছরের জুনে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল ভারত সরকার।
কী কারণে দাম বাড়ছে
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্বে চিনির উৎপাদন বেড়েছে, যে কারণে চিনির মজুদ চার বছরের সর্বোচ্চ, তবুও চিনির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য দেশে চিনির দাম বাড়লে ভারতও তার প্রভাব এড়াতে থাকতে পারবে না। উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতে গত এক বছরে খুচরো বাজারে চিনির দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর পর চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ফিউচার মার্কেটে চিনির দাম বাড়ার নেপথ্যে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ভারতে আখের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে রফতানি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার ইথানল মিক্স পেট্রোলের ব্যবহার বাড়ানোর প্রচার করছে। ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোল বিক্রির প্রচার চলছে। এই অবস্থায় চিনিকলগুলো এখন আখ থেকে ইথানল তৈরিতে বেশি জোর দিচ্ছে, যে কারণে চিনি উৎপাদন কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধাপে ধাপে করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে চিন। ফলে সেখানে চিনির চাহিদা বাড়ছে। খরার কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর কোনো কারণে ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন কমে গেলে ব্যাপক হারে বেড়ে যেতে পারে চিনির দাম।
আরও পড়ুন: আরবিআই রেপো রেট বাড়াতেই সুদের হার বৃদ্ধি পিএনবি, ব্যাঙ্ক অব বরোদার