চিনির দাম বাড়ার পর বড়ো সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণ এবং মজুদ রোধ করতে, সরকার ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরো বিক্রেতা, বড়ো চেন খুচরো বিক্রেতা এবং প্রসেসরদের এ বার প্রতি সপ্তাহে নিজের কাছে থাকা চিনির পরিমাণ ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের প্রতি সোমবার নিজের নিজের কাছে থাকা মজুত চিনির পরিমাণ জানাতে হবে। সরকারি https://esugar.nic.in পোর্টালে গিয়ে খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগকে তাদের চিনির মজুত সম্পর্কে জানাতে হবে।
দেশে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য ভোক্তা মন্ত্রক। কিন্তু মজুতদারি ও চিনির দাম নিয়ে গুজব ঠেকাতে এই তথ্য প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার বলছে, প্রতি সপ্তাহে এই তথ্য প্রকাশ করলে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। মজুতদারি ও গুজব রোধ করা হলে সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি সরবরাহ করা সহজ হবে।
স্টক মনিটরিং করলে বাজারে যে কোনো সম্ভাব্য কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের পক্ষে সহজ হবে। যা অতীতে শুধুমাত্র চিনি নয়, অন্য অনেক খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনির স্টক ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে, সরকার চিনির মজুতের রিয়েল টাইম ডেটা পেতে সক্ষম হবে যাতে সরকার প্রয়োজনে যে কোনো নীতিগত পদক্ষেপ নিতে পারে এবং চিনির দাম বৃদ্ধির গুজবের প্রভাবও কমাতে সক্ষম হবে। যে সব চিনিকল নিয়ম মানছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের শেষে, বাজারে ৮৩ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি উপস্থিত ছিল। অক্টোবর থেকে ফের বাজারে জোগান শুরু হলে দেশে চিনির পর্যাপ্ত চলে আসবে। উৎসবের মরশুমে চিনির কোনো ঘাটতি থাকবে না। সরকার ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি খোলা বাজারে ছেড়েছে। আগামী সময়ে আরও কোটা জারি হতে পারে। সরকার বলেছে, ন্যায্য মূল্যে গ্রাহকের কাছে চিনি পৌঁছে দিতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যে কোনো বিপদআপদ হোক না কেন, এই কাজটি করলে বাড়ি নিয়ে থাকবে না টেনশন