সামনে উৎসবের মরশুম। মিষ্টিমুখের তাগিদে চিনির চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় ক্রমশ দাম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চিনি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
অস্বাভাবিক বর্ষার কারণে চিনির উৎপাদন কমে যাওয়া এবং উৎসবের মরশুমে চাহিদা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার চিনি রফতানির উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চিনির নতুন মরশুমে রফতানি নিষিদ্ধ হতে পারে।
চিনির দাম বৃদ্ধির পর, সরকার চিনি কোম্পানিগুলিকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে উৎপাদন, প্রেরণ, ডিলার, খুচরো বিক্রেতা এবং বিক্রির সম্পূর্ণ ডেটা সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। তা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সরকার চিনিকলগুলিকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে এসএসডব্লিউএস পোর্টালে রেজিস্টারও করতে বলেছে।
সরকারী তথ্য অনুসারে, ১ জানুয়ারি, ২০২৩-এ, প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৪১.৪৫ টাকা। এই দাম ১০ অক্টোবর, ২০২৩-এ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩.৮৪ টাকা। তার মানে ২০২৩ সালের মধ্যেই চিনির দাম ৬ শতাংশ বা প্রতি কেজিতে প্রায় ২.৫০ টাকা বেড়েছে।
সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুয়ায়ী, ব্যবসায়ীদের প্রতি সোমবার নিজের নিজের কাছে থাকা মজুত চিনির পরিমাণ জানাতে হবে। সরকারি https://esugar.nic.in পোর্টালে গিয়ে খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগকে তাদের চিনির মজুত সম্পর্কে জানাতে হবে।
স্টক মনিটরিং করলে বাজারে যে কোনো সম্ভাব্য কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের পক্ষে সহজ হবে। যা অতীতে শুধুমাত্র চিনি নয়, অন্য অনেক খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনির স্টক ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে, সরকার চিনির মজুতের রিয়েল টাইম ডেটা পেতে সক্ষম হবে যাতে সরকার প্রয়োজনে যে কোনো নীতিগত পদক্ষেপ নিতে পারে এবং চিনির দাম বৃদ্ধির গুজবের প্রভাবও কমাতে সক্ষম হবে। যে সব চিনিকল নিয়ম মানছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে অফারের হাতছানি! কোন ব্যাঙ্কে গৃহঋণে সুদের হার কত