আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম পাউন্ড প্রতি ২৮ সেন্ট বেড়ে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারত থেকে রফতানি ব্যাপক হারে কমে যাওয়া এবং ব্রাজিলে লজিস্টিক সমস্যার কারণে চিনির জোগান কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ক্রমাগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক চিনি সংস্থার ১৫ দিনের গড় মূল্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ২৬ সেন্টের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, ভারতেও কি চিনির দাম বাড়বে?
চিনি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। দেশের ঘরোয়া বাজারে দাম বাড়ার পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকুক, এটাই চাইছে কেন্দ্র।
এমনিত, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ। যে কারণে ভারত থেকে রফতানি হ্রাস পেলে বিশ্ব বাজারে যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া মরশুমে ভারত মিলগুলিকে মাত্র ৬২ লক্ষ টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছিল।
শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যে নয়, ইথানল তৈরিতে কিছু চিনি ব্যবহার করা হয়। চিনিকলগুলি গত বিপণন বছরে ইথানল উৎপদনের জন্য ৪১ লক্ষ টন চিনি ব্যবহার করেছিল এবং একই পরিমাণ এ বছরও বরাদ্দ করা হতে পারে। এতে ব্যবসায়ী মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, দেশীয় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চলতি মরশুমে চিনি রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির সরবরাহও প্রভাবিত হওয়ার কারণ বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল লজিস্টিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানকার বন্দরগুলো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাহাজের লোডিং সময় বেড়েছে এবং বন্দরে স্টক জমা হচ্ছে। অন্যদিকে সয়া ফসল বাজারে আসার সঙ্গে রেল ও বন্দর উভয় পরিকাঠামোই পর্যাপ্ত না থাকায় সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইক-স্কুটি কিনছেন? ঋণ নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো বুঝে নিন