কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF) বর্তমানে একটি জনপ্রিয় স্কিম। কর্মচারীরা প্রতি মাসে নিজের বেতনের ১২ শতাংশ এই তহবিলে জমা করেন। কর্মচারীর পাশাপাশি নিয়োগকর্তাকেও ১২ শতাংশ অবদান রাখতে হয়। এই তহবিলে জমা হওয়া টাকার উপর সুদ দেয় সরকার।
আয়কর বিভাগ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর কর সংগ্রহ করে যেমন সুদ, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি। ঠিক একইভাবে পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকাও করের আওতায় পড়ে। ক্ষেত্র বিশেষে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে উপার্জনের উপর কর দিতে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, পিএফ থেকে টাকা তোলার উপর কখন কর ধার্য করা হয়?
ইপিএফের নিয়ম অনুসারে, যখনই কোনো কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তুলবেন, তখন তাঁকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। বলে রাখা ভালো, পিএফ তহবিল থেকে সম্পূর্ণ অর্থ অবসর নেওয়ার পরেই তোলা যাবে। এর জন্য ৫৫ বছর বয়স নির্ধারণ করেছে ইপিএফও। যে কোনো কর্মী অবসর নেওয়ার আগে পিএফ থেকে মাত্র ৯০ শতাংশ অর্থ তুলতে পারেন।
যদি কোনো ব্যক্তির চাকরি চলে যায়, তা হলে তিনি প্রথম বার পিএফ তহবিল থেকে ৭৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বার পুরো টাকা তুলে নিতে পারবেন। মনে রাখতে হবে যে পিএফ তহবিল থেকে টাকা তোলার আগে কিছু নথি জমা দিতে হবে গ্রাহককে। নথির ভিত্তিতে কয়েকটি শর্তে পিএফ তহবিল থেকে টাকা তোলা যাবে।
এমনিতে, ইপিএফ অ্যাকাউন্ট কোনো করের আওতায় পড়ে না। আয়কর আইন ৮০সি-র অধীনে কর কর্তন দাবি করা যেতে পারে। যদি কর্মচারীর অবদান বা অন্য কোনো উৎস থেকে আয়ের উপর প্রাপ্ত সুদ করযোগ্য হয়, তা হলে তা করযোগ্য।
তবে, নিয়োগকর্তার অবদান এবং এর উপর প্রাপ্ত সুদ সম্পূর্ণ করযোগ্য। যদি কোনো কর্মী পাঁচ বছর কোনো সংস্থায় কাজ করার আগে পিএফ তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলন করেন, তবে টিডিএস কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু, যদি তিনি কোনো সংস্থায় পাঁচ বছর কাজ করেন এবং তার পরে পিএফ তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলন করেন, তবে তার উপর কোনো প্রকার কর কাটা হবে না।
আরও পড়ুন: ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড লেনদেন এখন আরও বেশি নিরাপদ, জানুন কী ভাবে