সবচেয়ে খারাপ আর্থিক পরিস্থিতিতে মুখ ফেরাচ্ছে আইএমএফ, এখন কী করবে পাকিস্তান

imf

খালি হওয়ার পথে বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার। অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান। এমন একটা পরিস্থিতিতে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) থেকে বড়ো ধাক্কা। ১০ দিনের আলোচনার পরও এখন ত্রাণ তহবিল দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইএমএফ।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে পৌঁছেছে আইএমএফ দল। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, দেশের অর্থনীতিকে পতনের মুখ থেকে বাঁচাতে আইএমএফের কাছে বেলআউট (পুনরুদ্ধার) চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু ১০ দিনের আলোচনার পর পাকিস্তান হতাশ। অন্য দিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের মতে, পাকিস্তানের অর্থসচিব হামিদ শেখ বলেছেন যে বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার শূন্য হওয়ার বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি চুক্তি করা হয়েছে।

বলে রাখা ভালো, আইএমএফ থেকে ‘বেলআউট প্যাকেজ’ পেতে ১০ দিন ধরে আলোচনা করছিল পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সরকার দেশের জনগণের জন্য যা খরচ করছে তাতে আইএমএফের সমস্যা রয়েছে। আইএমএফ বলছে, পাকিস্তানের রাজস্ব ঘাটতি এবং রাজস্বের মধ্যে বড়ো পার্থক্য রয়েছে।

আইএমএফ পাকিস্তান সরকারের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে না। দ্বিতীয়ত, বাকি দেশগুলো থেকে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

উভয় বিষয়কে সামনে রেখে, এখনও পাকিস্তান সরকারের কাছে ‘ইকনোমিক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল পলিসিজ মেমোরেন্ডাম’ (MEFP) হস্তান্তর করেনি আইএমএফ। এমনকী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বেলআউট প্যাকেজের সর্বশেষ কিস্তিও কয়েক মাস ধরে আটকে আছে।

ও দিকে, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের দেখভাল করে ওই দেশের প্রধান রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান (SBP)। জানা গেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অর্থে আর কয়েকটা দিনই চলবে পাকিস্তান।

প্রসঙ্গত, প্রধানত বিশ্বে আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসার প্রচারে দেশগুলিকে সাহায্য করে আইএমএফ। সংকটে থাকা দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধি পুনরুদ্ধার করে এমন নীতিগুলি বাস্তবায়ন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা। কোনো দেশের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে ঋণ ব্যবস্থার সংশোধনও করা হয়। একে বলা হয় বেলআউট প্যাকেজ।

আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়া এবং দেশটিকে ঋণখেলাপির হাত থেকে রক্ষা করার বিষয়ে আলোচনা করে উভয় পক্ষ। কিন্তু প্যাকেজের অর্থ পেতে ১০ দিন ধরে চলা আলোচনায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ।

আরও পড়ুন: আরবিআই রেপো রেট বাড়াতেই সুদের হার বৃদ্ধি পিএনবি, ব্যাঙ্ক অব বরোদার

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.