ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে মতান্তরের মধ্যে ক্রিপ্টোয় নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে আইএমএফ

সমস্যাগ্রস্ত অর্থনীতির জন্য ঋণ পুনর্গঠন সম্পর্কে কিছু মতভেদ রয়েছে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি বৈঠকে অংশ নিয়ে এমনটাই জানালেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) প্রধান।

আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা (Kristalina Georgieva) বলেন, ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে এখনও কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। তবে আমাদের মতো সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি ঋণদাতাদের বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী সার্বভৌম ঋণ নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে।

ঋণ নিষ্পত্তি ছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণ করা ভারতের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে সহমত পোষণ করে জর্জিয়েভা। তাঁর কথায়, “আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রাগুলির মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। এ ধরনের মুদ্রাকে রাষ্ট্র সমর্থন করে। যে কারণে একে স্টেবলকয়েন বলা যেতে পারে। কিন্তু ক্রিপ্টো সম্পদ ব্যক্তিগত ভাবে জারি করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সবেমাত্র একটি অধিবেশন শেষ করেছি যেখানে এটা স্পষ্ট ছিল যে দেশগুলির সুবিধার জন্য পার্থক্যগুলি দূর করার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে”। ক্রিপ্টো সম্পদের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় রাখার পক্ষে ইতিমধ্যেই সওয়াল করেছিল আইএমএফ। এর আগে দেশগুলির জন্য একটি নয়-দফা কর্মপরিকল্পনা পেশ করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফ থেকে। যেখানে বিটকয়েনকে আইনি দরপত্র না দেওয়ার অনুরোধও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০২১ সালের শেষের দিকে বিটকয়েনকে আইনি নগদ হিসাবে গ্রহণ করা বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে ওঠে এল সালভাদর। সে দেশের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল আইএমএফ। তবে পরবর্তীতে এল সালভাদরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, এমন একটা সময় কোভিড মহামারি সংক্রান্ত টালমাটাল পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে আইএমএফের কাছে আপদকালীন তহবিল চেয়ে দরবার করে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ঋণ সমস্যাই এখন সবচেয়ে বড়ো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: টাটার বাম্পার নিয়োগ! ৪ হাজারের বেশি বিমানকর্মী এবং ৯০০ পাইলট নিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading