টানা ৬ দিন পতন শেয়ার বাজারে! উদ্বেগের কারণ কী

Bombay Stock Exchange

এ সপ্তাহের টানা ছ’দিন পতন সেনসেক্স, নিফটি-তে। জাঁকিয়ে বসেছে মার্কিন ফেড রিজার্ভের রেট বৃদ্ধির উদ্বেগ।

এশীয় বাজারের দুর্বল প্রবণতা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি রোধে সুদের হার আরও বাড়াতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যেই ভারতীয় শেয়ার বাজারের বেঞ্চমার্ক সূচকগুলিতে অস্থিরতা অব্যাহত। সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনেও কমেছে প্রাথমিক লাভ।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, নতুন বিদেশি তহবিলের বহিঃপ্রবাহ এবং এইচডিএফসি-র জোড়া স্টক বিক্রির চাপও বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে দুর্বল করেছে। বিএসই সেনসেক্স ১৪১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ কমে ৫৯,৪৬৩.৯৩-এ থিতু হয়েছে। তবে একটা সময় ২৮০.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ কমে ৫৯,৩২৫.২৪-এ গিয়ে ঠেকেছিল এই সূচক। একই দিনে, এনএসই নিফটি ৪৫.৪৫ পয়েন্ট বা ০.২৬ শতাংশ কমে ১৭,৪৬৫.৮০-তে থেমেছে শুক্রবার।

৩০ স্টকের সেনসেক্স প্যাকে, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, মারুতি, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, এইচডিএফসি, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, টেক মাহিন্দ্রা এবং ভারতী এয়ারটেলে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা দিয়েছে শুক্রবার। বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফোটানো স্টকগুলির মধ্যে অন্যতম এশিয়ান পেইন্টস, বাজাজ ফিনসার্ভ, পাওয়ার গ্রিড, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এনটিপিসি এবং আল্ট্রাটেক সিমেন্ট।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ঘরোয়া বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার সবুজ থাকা সত্ত্বেও টানা ষষ্ঠ দিনে লোকসান দেখেছে ঘরোয়া বাজার। বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপ অব্যাহত। এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুসারে, বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPIs) বৃহস্পতিবার ১,৪১৭.২৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরই মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম।

শুক্রবার এশিয়ার অন্যতম বাজারগুলি মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, চিন এবং হংকং নীচে নেমে শেষ হয়েছে, যেখানে জাপানের বাজার সবুজেই বিচরণ করেছে।

আরও পড়ুন: ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে মতান্তরের মধ্যে ক্রিপ্টোয় নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে আইএমএফ

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.