বিবি ডেস্ক: কালো টাকা লেনদেন বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) ব্যবহারের অভিযোগ বহু দিনের। কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank) এতে ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে বার বার সতর্ক করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman)।
আগামী বছর জি-২০ (G20) গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট দেশ হিসেবে নেতৃত্ব দেবে ভারত। আমেরিকা সফর শেষে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) ব্যবহারের নিয়মাবলী (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর) তৈরি করতে চায় সরকার।
দুশ্চিন্তা কোথায়
সম্প্রতি ভারতে ইডি (ED) কালো টাকা লেনদেনে এই মুদ্রা ব্যবহারের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে এর নানা দিক খতিয়ে দেখছে। জি-২০ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে সকলকে এক টেবিলে এনে সারা বিশ্বে ক্রিপ্টো ব্যবহারের নিয়ম চালুর আলোচনা করতে আগ্রহী ভারত। লক্ষ্য, সেই নিয়মের কাঠামো তৈরি ও সেটি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করা। নির্মলার মতে, সব দেশই নেটে ব্যবহারযোগ্য এই মুদ্রার প্রযুক্তি কাজে লাগাতে আগ্রহী। কিন্তু তা যাতে খারাপ কাজে ব্যবহার না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে চায় ভারত।
কী পদক্ষেপ করেছে ভারত
ভারতে ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টো-সহ নেটে ব্যবহারের বিভিন্ন মুদ্রাকে সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে এগুলি লেনদেনে করও বসিয়েছেন। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank) জানিয়েছে, ক্রিপ্টো কোনও দেশ বা শীর্ষ ব্যাঙ্ক দ্বারা বাজারে ছাড়া হয় না। ফলে এগুলিকে মুদ্রা বলা চলে না। তারা নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আনারও কাজ করছে। এই উদ্যোগের হাত ধরে নগদ ব্যবহার কমবে ও পরিবেশ বাঁচবে বলে আজ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর মতে, এতে সঞ্চয়ও বাড়বে।
আরও পড়ুন: খাদ্য সূচকে পতন, বেকারত্ব বৃদ্ধি, অর্থমন্ত্রী কিন্তু শোনাচ্ছেন আশার বাণী
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.