বিবি ডেস্ক: শেষ তিনটি সেশনে দুরন্ত গতি শেয়ার বাজারে (Stock Market)। গত সপ্তাহের শেষ থেকে শুরু করে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনের ধারা অব্যাহত মঙ্গলবারেও। বিশ্ববাজারের আপাত স্থিতাবস্থার কারণেই ভারতীয় শেয়ার বাজার নিয়ে আশ্বস্ত বিনিয়োগকারীরা।
সোমবারের মতোই এ দিনও সবুজে বিচরণ করছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের মূল দুই সূচক সেনসেক্স (Sensex) এবং নিফটি (Nifty)। এ দিন সকালে ৫৯ হাজার পয়েন্টের উপরে উঠে যায় ৩০ স্টকের সূচক সেনসেক্স। অন্য দিকে, একই রকম ভাবে ৫০ স্টকের নিফটি-ও কেনাবেচার প্রথম ঘণ্টায় ছিল সাড়ে ১৭ হাজারের উপরেই।
সেক্টরগুলির মধ্যে, অটো, ক্যাপিটাল গুডস, এফএমসিজি, আইটি এবং পাওয়ার সূচকের প্রতিটিতে এক শতাংশ যোগ করেছে, যেখানে মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ সূচকগুলি প্রায় .৫ শতাংশ যোগ করেছে।
মার্কিন বাজারের স্থিতাবস্থা
মার্কিন স্টকগুলি সোমবার কেনাবেচার সপ্তাহের সূচনা ঘটে দুই বিপরীতধর্মী ঘটনা। ব্রিটেনের একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে সংশয়। অন্য দিকে তখন ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার সর্বশেষ দৃঢ় ত্রৈমাসিক আর্থিক ফলাফল। যা কর্পোরেট আয়ের মরশুম সম্পর্কে আশাবাদী তুলেছে বিনিয়োগকারীদের। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ৫৫০.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ বেড়ে ৩০,১৮৫.৮২-তে, এস অ্যান্ড পি৫০০ বেড়েছে ৯৪.৯৮ পয়েন্ট বা ২.৬৫ শতাংশ। নাসডাক কম্পোজিট ৩৫৪.৪১ পয়েন্ট বা ৩.৪৩ শতাংশ যোগ করে পৌঁছে গিয়েছে ১০,৬৭৫.৮০-তে।
ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা কর্পোরেশন শেয়ার ৬.০৬ শতাংশ বেড়েছে কারণ ত্রৈমাসিকে ঋণদাতার নিট সুদের আয় ক্রমবর্ধমান সুদের হারের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উল্টো দিকে ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত ক্ষতির পরিমাণে যোগ হয়েছে ৩৭৮ মিলিয়ন ডলার। তবে নমনীয় অর্থনীতির চাপেই এই পরিমাণ বৃদ্ধি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডলার থেকে কিছুটা স্বস্তি
ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সরকারের বেশিরভাগ “মিনি-বাজেট” বাতিল করার পর সোমবার সে দেশের প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে। ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা থেকে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ভালো আয়ের প্রত্যাশা ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এ দিকে, মঙ্গলবারের বাজার শুরুর দিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি ২২ পয়সা বেড়ে ৮২.০৮ টাকায় পৌঁছেছে। এই ইতিবাচকতা দেশীয় ইক্যুইটিতেও বড়োসড়ো প্রভাব ফেলেছে। একই সঙ্গে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর সোমবার প্রকাশিত মাসিক বুলেটিনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ প্রসারিত হওয়ায় সেপ্টেম্বরের স্তর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমবে। সবমিলিয়ে একাধিক আশায় ভর করে বিনিয়োগের বহরও বেড়েছে এ দিন।
আরও পড়ুন: হাতে সময় কয়েক মাস, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের নিয়ম বেঁধে ফেলতে মরিয়া ভারত