শেয়ার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জন্য ফিউচার এবং অপশনে (F&O) লেনদেন আরও ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর কারণ হল সরকার ফিনান্স বিল ২০২৩ (Finance Bill 2023)-এ ফিউচার এবং অপশন বিক্রির উপর নিরাপত্তা লেনদেন কর (Security Transaction Tax, STT) বাড়িয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, এর পরে ব্যবসায়ীদের জন্য স্টক মার্কেটে ফিউচার এবং অপশনগুলি বিক্রি করা ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
কতটা বাড়বে
ফাইন্যান্স বিল ২০২৩-এ সিকিউরিটিজ লেনদেন কর ০.০৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.০৬২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে এসটিটি। এর মানে হল ১০০ টাকায় যেখানে এসটিটি লাগত ৫ পয়সা, সেখানে এ বার থেকে সেটা লাগবে ৬.২ পয়সা। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যদি কোনো ব্যবসায়ীর ফিউচার এবং অপশনগুলিতে ১ কোটি টাকার টার্নওভার থাকে তবে তাঁকে ৬ হাজার ২৫০ টাকা এসটিটি দিতে হবে। যা আগে দিত হতো ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে ১ হাজার ২৫০ টাকা বাড়তি ব্যয় হবে।
কবে থেকে কার্যকর
বুধবার লোকসভায় পেশ করা হয়েছে ফিনান্স বিল ২০২৩। এই বিলের আওতায় থাকা পরিবর্তনগুলি আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। অর্থাৎ, আগামী মাসের প্রথম দিন থেকেই সিকিউরিটিজ লেনদেন কর ০.০৫ শতাংশের জায়গায় ০.০৬২ শতাংশ হারে দিতে হবে।
কী প্রভাব পড়তে পারে
এসটিটি বৃদ্ধির ফলে স্টক মার্কেটের এফ অ্যান্ড ও সেগমেন্টের ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে যাবে এবং তাঁদের আগের থেকে বেশি চার্জ দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারে ভলিউমকে প্রভাবিত করতে পারে।
ফিউচার অ্যান্ড অপশন
ফিউচার এবং অপশন ট্রেডিং হল স্টক ডেরিভেটিভস, যেখানে ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতের তারিখে পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে স্টক কিনতে বা বিক্রি করতে সম্মত হন। এখন সেই নির্দিষ্ট তারিখে যদি দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে অবস্থান কেনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী লাভ ঘরে তোলেন। অন্যদিকে যদি অবস্থান বিক্রি করতে পছন্দ করেন তাহলে স্টকের মূল্য হ্রাস হলে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর উল্টোটা হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা, সপ্তাহান্তে চওড়া পতন শেয়ারবাজারে