২০২২-২৩ আর্থিক বছরের শেষ দিনে দুর্দান্ত লেনদেন শুরু করেছিল দেশীয় শেয়ারবাজার। বেলা গড়ানোর সঙ্গেই তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এশীয় বাজার-সহ বিশ্ব বাজারের সমর্থন দেশীয় বাজারের বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করেছে।
আজকের লেনদেন শুরুর আগে থেকেই দেশীয় শেয়ারবাজারে ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। প্রি-ওপেন সেশনের সময় সেনসেক্স এবং নিফটি উভয়েই উঁচুতে উঠতে শুরু করে। সেশন শুরুর আগে, সেনসেক্স প্রায় ৩১৫ পয়েন্ট উপরে ছিল, অন্য দিকে যথেষ্ট গতির ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছিল নিফটি-তেও।
ট্রেডিং শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনসেক্স প্রায় ৫৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮,৫০০ অতিক্রম করে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেনসেক্সের দৌড় ৬৭৫ পয়েন্ট অতিক্রম করে। একইভাবে, এনএসই নিফটি ১৬০ পয়েন্টের বেশি অর্থাৎ প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ১৭,২৫০ অতিক্রম করে।
এ ভাবেই বাড়তে বাড়তে সেনসেক্স একটা সময় পৌঁছে যায় ৫৯ হাজারের উপরে। এক দিনের ট্রেডিংয়ে হাজার পয়েন্টের বেশি উপরে উঠতে দেখা যায় ৩০ স্টকের এই সূচককে। অন্য দিকে, নিফটি ছুঁয়ে ফেলে ১৭ হাজার ৩৮১ পয়েন্ট। এ দিন সেনসেক্স এবং নিফটি, উভয় সূচকের প্রায় ২ শতাংশের বৃদ্ধি ধরা পড়ল।
আজকের কেনাবেচায় এই ইতিবাচকতার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। বৃহস্পতিবার যথেষ্ট উত্থান দেখা গিয়েছিল আমেরিকার বাজারে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ০.৪৩ শতাংশ, এস অ্যান্ড পি ৫০০০.৫৭ শতাংশ এবং টেক-ফোকাসড নাসডাক কম্পোজিট সূচক ০.৭৩ শতাংশ বেড়েছিল। এ দিন এশিয়ার বাজারগুলিও প্রাথমিক বাণিজ্যে শক্তিশালী ছিল। জাপানের নিক্কেই প্রায় ০.১ শতাংশ বেড়েছে সঙ্গে ব্যবসা করেছে, অন্যদিকে হংকংয়ের হ্যাংসেংও ০.৮১ শতাংশ বেড়েছে।
বিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩ হাজার ৬০০টিরও বেশি স্টকের মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি স্টক বেড়েছে এ দিনের ট্রেডিংয়ে। বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশি বিনিয়োগে ফের জোয়ার এসেছে। বুধবার, এফআইআই এবং ডিআইআইগুলি যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৫ কোটি এবং ৮২৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
আরও পড়ুন: স্বল্প সঞ্চয়ে এ বার প্যানের পরিবর্তে আধার ব্যবহার করে KYC,পরিকল্পনা কেন্দ্রের