স্বল্প সঞ্চয়ে এ বার প্যানের পরিবর্তে আধার ব্যবহার করে KYC,পরিকল্পনা কেন্দ্রের

KYC

স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের অধীনে আমানতের পদ্ধতিগুলি শিথিল করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে বিনিয়োগকারীদের একটি বৃহত্তর অংশ, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকা থেকে, এই স্কিমগুলির সুবিধা নিতে সক্ষম হয় একটা বড়ো অংশের গ্রাহক। অর্থমন্ত্রকের সূত্রে উদ্ধৃত করে এমটাই জানানো হয়েছে ইকনোমিকস টাইমস-এর রিপোর্টে

কেওয়াইসি নিয়ম শিথিলতার অংশ হিসাবে, তিনটি পদ্ধতিগত পরিবর্তন করা হবে। প্রথমে, গ্রাহকদের প্যান কার্ডের পরিবর্তে আধার ব্যবহার করে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হবে। প্যান কার্ডের তুলনায় ভারতে অনেক বেশি সংখ্যক লোকের আধার কার্ড রয়েছে তা বিবেচনা করে, এই শিথিলতা। যা অনেক গ্রামীণ আমানতকারীদের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।

দ্বিতীয়ত, মৃত্যুর পর বিনিয়োগকারীর আইনি উত্তরাধিকারীদের টাকা পাওয়ার নিয়ম সহজ করা হবে। তৃতীয়ত, মনোনয়নের প্রক্রিয়া আরও সরলীকরণ করা হবে।

সূত্রের খবর, আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে শীঘ্রই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে সরকারি স্তরে এব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা শেষ। চলতি সপ্তাহেই হবে চূড়ান্ত বৈঠক। আগামী আর্থিক বছরের শুরু অর্থাৎ এপ্রিল থেকে যাতে এই নয়া নিয়ম কার্যকর করা যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে অর্থমন্ত্রক।

শুধু স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি নয়, জনধন যোজনার ক্ষেত্রেও এবার আধার কার্ডের মাধ্যমে কেওয়াইসি জমা করা যাবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। এই নিয়ম বদলের নেপথ্য যুক্তি হিসেবে দু’টি কারণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এক, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ইস্যু হওয়া প্যানের তুলনায় আধার কার্ডের সংখ্যা অনেক বেশি। বর্তমানে ৫৩ কোটি মানুষের কাছে প্যান কার্ড রয়েছে। সেখানে আধার কার্ডের সংখ্যা ১৩৪ কোটি। যদিও এর মধ্যে বহু ভুয়ো ও জাল আধার রয়েছে বলে দাবি খোদ কেন্দ্রের। সেগুলি চিহ্নিত করে বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।

এই নিয়ম চালু হয়ে গেলে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস প্রকল্প, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ইত্যাদির মতো স্বল্প সঞ্চয়গুলিতে বিনিয়োগের জন্য কেওয়াইসি হিসেবে আধার কার্ড দিলেই চলবে, প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক থাকবে না।

আরও পড়ুন: UPI লেনদেনে সাধারণ গ্রাহককেও দিতে হবে বাড়তি শুল্ক? স্পষ্ট করে জানাল এনপিসিআই

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.