শনিবার (১ এপ্রিল) নতুন আর্থিক বছরের শুরু। নতুন আর্থিক বছরে পরিবর্তন কার্যকর হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বেশ কিছু আর্থিক পরিবর্তনের জোরালো প্রভাব পড়বে কর ব্যবস্থাতেও। সেগুলির মধ্যে থেকেই দেখে নেওয়া যাক অন্যতম ৫টি…
১. নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে নতুন আয়কর স্ল্যাব
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেটে সংশোধন করা হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থার স্ল্যাবের। যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর। নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ স্ল্যাবে ২০ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপরে সর্বোচ্চ হারে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
২. সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিলে আপনাকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো রকমের আয়কর দিতে হবে না। এই ক্ষেত্রে, ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যাবে। যা আগে ছিল ১২ হাজার ৫০০ টাকা, সেটাই এ বার দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে যদি কোনো ব্যক্তির করযোগ্য আয় (সমস্ত যোগ্য ডিডাকশন দাবি করার পরে) নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে ৭ লক্ষ টাকার বেশি না হয়, তা হলে কোনো কর দিতে হবে না।
৩. নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে মৌলিক ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি
নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর স্ল্যাবগুলিতে পরিবর্তনের সঙ্গেই, মৌলিক ছাড়ের সীমা (basic exemption limit) ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছর পর্যন্ত, বয়স নির্বিশেষে সমস্ত ব্যক্তির জন্য মৌলিক ছাড়ের সীমা ছিল আড়াই লক্ষ টাকা।
৪. নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
২০২৩-২৪ আর্থিক বছর থেকে নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে বেতনভোগী ব্যক্তি এবং পেনশনভোগীদের জন্য ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইভাবে, নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়া পারিবারিক পেনশনভোগীরাও ১৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন তাদের করযোগ্য আয় কমাতে সাহায্য করবে।
৫. পুরনো কর ব্যবস্থা আগাম বেছে নেওয়ার সুবিধা
এ বারের বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থাকে ডিফল্ট বিকল্প হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, আয়কর দাখিল করার সময় আপনি যদি আলাদা করে পুরনো কর ব্যবস্থা বেছে না নেন, তা হলে আপনার আয়কর নতুন কর ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গণনা করা হবে। ফলে নিজের আয়কর রিটার্ন করার সময় নিজের পছন্দের ব্যবস্থাটি (নতুন অথবা পুরনো) বেছে নিতে হবে। যদি কোনো বিকল্প বেছে না নেওয়া হয়, তা হলে নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে নতুন আয়কর স্ল্যাবের ভিত্তিতে কর কেটে নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে সারচার্জ হারের হ্রাস, ডেবট মিউচুয়াল ফান্ডে এলটিসিজি সুবিধা প্রত্যাহার, ক্ষুদ্র করদাতাদের জন্য প্রান্তিক কর ছাড়,অনলাইন গেম থেকে পুরো আয়ের উপর টিডিএস-সহ আরও বেশ কিছু পরিবর্তন কার্যকর হবে সংশোধিত আয়কর নিয়মে।
আরও পড়ুন: স্বল্প সঞ্চয়ে এ বার প্যানের পরিবর্তে আধার ব্যবহার করে KYC,পরিকল্পনা কেন্দ্রের