বিবি ডেস্ক: ইউরোপের গভীরতর জ্বালানি সংকট। তবে সোমবার সাপ্তাহিক কেনাবেচার শুরুর দিনে ভারতীয় শেয়ার বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা।
এক দিকে ইউরোপের গভীরতর জ্বালানি সংকট, তারই সঙ্গে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গি মোকাবিলা করা বিশ্ব অর্থনীতির উদ্বেগ এবং আর্থিক কড়াকড়ির কারণে এশিয়ার বৃহত্তম শেয়ার বাজারে অস্থিরতা লেগেই রয়েছে।
তবে এ দিন ভারতীয় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্কগুলি শুরুতেই লাভের অংক দেখতে শুরু করে। ৩০ স্টকের সেনসেক্স সূচকটি ২৮৬.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯,০৮৯.৬৯-এ প্রাথমিক ট্রেড করে এবং নিফটি-৫০ সূচক ৭৭.০ পয়েন্ট বেড়ে ১৭,৬১৭.৩৫-এ পৌঁছে যায়।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা থেকে সোমবারের লেনদেনে একটি দুর্বল অবস্থানে খোলার সম্ভাবনা ছিল বেঞ্চমার্ক সূচকগুলির। কারণ, আরও রেট বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে অনুপ্রাণিত করবে বলেই ধারণা করা যায়।
গত সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিন শুক্রবার, সেনসেক্স সূচক একটি অস্থির সেশনে, ইতিবাচক নোটে শেষ হয়েছিল। লাভ এবং ক্ষতির টানাপোড়েনের মধ্যে ঝুলে ছিল সূচকটি।
ইউরোপে একটি বড়ো গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ইউরোপের কিছু সরকার জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতির যন্ত্রণা কমানোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই। এই ঘটনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করারই কথা।
এর জেরেই নিজের ২০ বছরের সর্বনিম্ন ০.৯০০০৫ ডলারের কাছাকাছি ছিল ইউরো। ইউরোপীয় ফিউচার ৩ শতাংশ কমেছে কারণ আরও মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে বাজার। এই কারণেই চিন, হংকং এবং জাপানের মতো এশিয়ান ইকুইটি সূচকগুলিও নিম্নমুখী ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এরই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন বৈরিতা বাজারে অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। কারণ বাইডেন প্রশাসন চিনা প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে মার্কিন বিনিয়োগ সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। এই পর্যালোচনার সময় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বজায় রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সাইরাস মিস্ত্রি, টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সম্পর্কে ৭টি তথ্য