নয়াদিল্লি: অব্যাহত থাকবে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সংস্কার। দু’টি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসার কোনো প্রশ্নই নেই। আরও এক বার কেন্দ্রের পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।
সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ
একটি সভায় তিনি বলেন, “আমরা বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,তা এলআইসি-র মাধ্যমেই দেখিয়েছি। এলআইসি-র পাবলিক ইস্যু সহজ ছিল না, কিন্তু আমরা তা করেছি। অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত সরকারের পরিকল্পনা মতোই বাস্তবায়িত হয়েছে”। গোটা বিষয়টিকে তিনি ‘স্ট্র্যাটেজিক সেল’-এর আখ্যা দিয়েছেন। ঠিক এই ধাঁচে কেন্দ্র আরও সংস্থাকে বিক্রির পথে হাঁটবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ হবেই। পাশাপাশি চলবে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সংস্কারও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েই রয়েছে। বাজেটেও আমরা ঘোষণা করেছি। ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইনে থাকা সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর”।
২ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ
দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সুপারিশ করেছিল নীতি আয়োগ।
পাশাপাশি, সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্র এবং এলআইসি, উভয়েই আইডিবিআই ব্যাঙ্কে নিজেদের অংশীদারিত্ব কমিয়ে দিতে পারে। কর্পোরেট-কেন্দ্রিক এই ব্যাঙ্ক সরকারি হস্তক্ষেপেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল।
আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্যে
সীতারমনের কথায়, “সরকার আগামী ২৫ বছরের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছরে ভারতের অর্থনীতি যাতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হয়, সেটাই লক্ষ্য”।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে দেখা গিয়েছে, সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মুনাফা করেছে। নবরত্ন, মহারত্ন, মিনিরত্ন, অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে এবং সরকারকে লভ্যাংশও দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্তে অনড় কেন্দ্র। মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এলআইসির অংশীদারিত্ব বিক্রি করে মিলেছে ২১ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারিকরণ থেকে এখনও পর্যন্ত আয় হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পিছনে পড়ল ব্রিটেন, কী ভাবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এখন ভারত