আমূল বদলে গিয়েছে রিস্কোমিটার। আগে যে সূচকের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগের প্রায় কোনও রকম সম্পর্কই ছিল না, এখন তা আর নেই। তার মানে এই নয় যে আগের মিটারে ঝুঁকির কোনও আন্দাজ পাওয়া যেত না। অবশ্যই যেত। কিন্তু বদলে যাওয়া মিটারের মতো এতটা নিখুঁত ভাবে নয়।
প্রতিটি ফান্ড তৈরি হয় সেবি নির্ধারিত বিনিয়োগের দিশা নিয়ে। এক একটি দিশায় বিভিন্ন সংস্থা তৈরি করে তাদের ফান্ড। কিন্তু সব ফান্ড তো এক রকম লাভ দেয় না। তার কারণ বহু। যেমন, কে সেই ফান্ডটি পরিচালনা করছে। এত দিন পর্যন্ত কে বা কারা সেই ফান্ড পরিচালনা করছে তা না দেখেই ফান্ডের ঝুঁকির হিসাব করত রিস্কোমিটার। কারণ, এত দিন পর্যন্ত ঝুঁকি মাপার অঙ্কটি ছিল শ্রেণি ভিত্তিক। সব ফান্ড যে শ্রেণিতে বিনিয়োগ করত, সেই শ্রেণির ঝুঁকিটাই সেই ফান্ডের ঝুঁকি হয়ে উঠত। কিন্তু তা তো ঠিক নয়। নির্দিষ্ট শ্রেণির বিভিন্ন ফান্ডের মধ্যেও ঝুঁকির তারতম্য হয়। একটি ফান্ড অনেক দক্ষ ভাবে পরিচালিত হতে পারে প্রতিযোগী আরেকটি ফান্ডের তুলনায়। আবার আরেকটি ফান্ডে তার নির্দিষ্ট শ্রেণির তুলনায় ঝুঁকি অনেক বেশি হতে পারে তুলনামূলক ভাবে অদক্ষ পরিচালনার জন্য।
নতুন নিয়মে এই অবস্থা বদলে গিয়েছে। রিস্কোমিটার এখন আর কোনও ফান্ড কোন শ্রেণিতে বিনিয়োগ করেছে তার ভিত্তিতে ঝুঁকি মাপছে না। প্রতিটি ফান্ডের জন্য আলাদা ভাবে ঝুঁকির দিশা দিচ্ছে বদলে যাওয়া মিটার। অর্থাৎ, প্রতিটি ফান্ড কোন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে এবং সেই বিনিয়োগের চরিত্র বিচার করেই তৈরি হচ্ছে ঝুঁকির অঙ্ক। তাই মিটার এখন আর বিনিয়োগের শ্রেণি নির্ভর না হয়ে, প্রতিটি ফান্ডের নির্দিষ্ট চরিত্র ও দক্ষতা নির্ভর হয়ে উঠেছে।
মাথায় রাখতে হবে, ফান্ড পরিচালকরা তাঁদের নিজের অঙ্ক অনুযায়ী বিনিয়োগের লাভ বাড়াতে পোর্টফোলিয়ো ঝাড়পোঁচ করতে থাকেন। বদলাতে থাকে পোর্টফোলিয়োতে থাকা শেয়ার। এক সংস্থার থেকে অন্য সংস্থায়। তারই সঙ্গে বদলাতে থাকে ঝুঁকি।
তাই ঝুঁকি সামলাতে নজর রাখুন আপনার বিনিয়োগ করা ফান্ডের বদলাতে থাকা রিস্কোমিটারে।
আরও পড়ুন: ২ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না কেন্দ্র, জানালেন নির্মলা সীতারমন