বিবিডেস্ক: শেয়ার মার্কেটের ৫০ স্টকের সূচক নিফটির বর্তমান কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার প্রবণতা তৈরি করছে। কিন্তু ফাঁদে পা দিলেই মুশকিল!
সোমবার শেয়ার মার্কেট খোলার পরই প্রথম এবং জোরালো ধাক্কা লাগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে। মঙ্গলবারও তার রেশ সমানে অব্যাহত ছিল বাজারের দুই সূচক সেনসেক্স এবং নিফটির গতিবিধিতে। তবে পর দিন, বুধবার স্টক মার্কেটের ঘাড়ে বোঝা হিসাবে চেপে বসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর বোঝা। আরবিআই রেপো রেট কমাতেই অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিও সুদের হার কমাতে বাধ্য হবে ধরে নিয়েই হিড়িক পড়ে যায় বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়ার। যার জেরে টানা কয়েক দিনের পতনের ধারা বজায় রেখেই বুধবারেও নিফটির পকেট থেকে খসে যায় ৯২ পয়েন্ট (.৮৫ শতাংশ)। কী হতে চলেছে বৃহস্পতিবার?
রেপো রেটে ৩৫ বিপিএস কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই ধাক্কায় লাগে স্টক মার্কেটে। তবে নজরে রাখার বিষয়, নিফটির আগের দিনের নীচের চূড়া ১০,৮১৪ তে বুধবার গোঁত্তা মারতে দেখা যায়নি নিফটিকে। ১০,৮৩৫ পয়েন্ট ছুঁয়ে এসে দিনের শেষে থিতু হয় ১০,৮৫৫ পয়েন্টে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পর্যায়টিকেই পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
নিফটি চাইছে ১০,৮০০-র উপরে নিজেকে যে ভাবে হোক ধরে রাখার। পর পর একাধিক ধাক্কা সামলেও যেহেতু নিফটির পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে, ধারণা করা যেতে পারে এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনেও তা সম্ভব হবে। অন্য দিকে স্টক ওভার সোল্ড হয়ে যাওয়ার কারণে মার্কেটে নতুন করে অক্সিজেন সরবরাহ ঘটতেই পারে। আজ কী হতে পারে?
নিফটির টেকনিক্যাল চার্ট বলছে, বৃহস্পতিবার ৫০ স্টকের সূচকের রেজিস্ট্যান্স হতে পারে ১০,৯৫০ এবং ১১,০০০ পয়েন্ট। অন্য দিকে সাপোর্ট দাঁড়াতে পারে ১০,৮০০ এবং ১০,৭৩০ পয়েন্ট।
অর্থাৎ, টেকনিক্যাল ভাবে যখন পিছনে টেনে ধরার প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে, তখন একটা সংজ্ঞায়িত পরিসরে একত্রীকরণকেও অস্বীকার করা যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই বৃহস্পতিবারের জন্য সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.