বিবি ডেস্ক: উচ্ছ্বসিত ভারতীয় শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবারের কেনাবেচায় ওঠানামা অব্য়াহত থাকলেও দিনের শেষে সর্বকালীন সর্বোচ্চ উচ্চতায় বন্ধ হয়েছে শেয়ার বাজারের অন্যতম সূচক সেনসেক্স (Sensex)।
আজ বাজার
২৪৮ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স এ দিন বন্ধ হয়েছে ৬১,৮৭২-এ। যা এখনও পর্যন্ত এক দিনে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সর্বোচ্চ। অন্য দিকে, ১৮,৪০৩-এ বন্ধ হয়েছে নিফটি৫০ (Nifty50), এটা এখনও পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এ দিন সেনসেক্সের স্টকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে উপরে উঠেছে পাওয়ার গ্রিড, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ভারতী এয়ারটেল, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ড. রেড্ডিস এবং এশিয়ান পেইন্টস। অন্য দিকে, আইটিসি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বাজাজ ফিনসার্ভ এবং নেসলে পিছিয়ে পড়েছে।
রুপি এবং বন্ড মার্কেটগুলিও আজ বেশ শক্তিশালী অবস্থানে বন্ধ হয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৭ পয়সা বেড়ে ৮১.১১-তে বন্ধ হয়েছে টাকার দাম। বেঞ্চমার্ক ভারতীয় ১০ বছরের সরকারি বন্ডের ফলন ৭.২৬১৩ শতাংশে শেষ হয়েছে, যেখানে সোমবার ৭.২৮৬৬ শতাংশে। বলে রাখা ভালো, বেঞ্চমার্ক ফলন প্রায় দু’মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। কারণ একটাই মুদ্রাস্ফীতি। ফলে এ দিন হ্রাসের হার অনেকটাই কম।
নেপথ্য কারণ
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 summit) আমেরিকান এবং চিনা প্রেসিডেন্টদের মিলিত হওয়ার পর মার্কিন-চিন উত্তেজনা কমার আশায় বিশ্বব্যাপী স্টকমার্কেটে আজ খুশির হাওয়া। ওয়াল স্ট্রিট ফিউচারও উপরে ছিল। কারণ, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন-চিনা উত্তেজনা কমার আশা করছে ফেডারেল রিজার্ভ।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি বাজারের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী টেলওয়াইন্ড হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির শীর্ষে যাওয়া এবং হার বৃদ্ধির একটি ধীর গতির সম্ভাবনা। এই প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে, ভারতেও খুচরো মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে অক্টোবরে ৬.৭ শতাংশ হয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি ৯২ ডলার হওয়াও আরেকটি ইতিবাচক দিক।
অন্য দিকে অক্টোবরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি কমে ৮.৩৯ শতাংশ হয়েছে। যা গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জ্বালানি ও উৎপাদিত পণ্যের দাম কমায় পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে, ২০২৩-এর মার্চের মধ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি আরবিআই-এর সহনশীলতার সীমার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: পুরো কলকাতায় কবে মিলবে ফাইভ-জি, জানাল জিও