বর্তমানে, করদাতাদের জন্য দু’টি আয়কর ব্যবস্থা রয়েছে – পুরনো আয়কর ব্যবস্থা, এবং নতুন আয়কর ব্যবস্থা। করদাতা নিজের সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করের সংশোধিত স্ল্যাব ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
নতুন আয়কর ব্যবস্থা
২০২১ আর্থিক বছরে প্রবর্তিত ডিডাকশন ছাড়া বিকল্পের অধীনে, ছয়টি স্ল্যাব রয়েছে। এগুলি হল ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ। নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে, ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। বছরে ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১০ লক্ষ টাকার উপরে যাদের আয়, নতুন কর ব্যবস্থার তাদের তিনটি পৃথক স্ল্যাবে ফেলা হয়েছে। ১০ লক্ষ থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে যাদের আয়, তাদের ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। এছাড়া, ১২.৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করা আছে।
কী বলছে রিপোর্ট
কেন্দ্র আয়কর সীমা বাড়াবে এবং অন্যদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত করদাতাদের স্বস্তি দেবে, এমন প্রত্যাশার মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় ২০২৩-২৪-এর জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে তিনি রবিবার বলেছিলেন যে তিনি মধ্যবিত্তের চাপ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সামনে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হল কী ভাবে তিনি করের বোঝার মুখোমুখি মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সক্ষম হবেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যবিত্তদের সমস্যার কথা উল্লেখ করে নির্মলা আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তাদের চাপ বুঝতে পেরেছেন। এর সঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে কেন্দ্রের মোদী সরকার মধ্যবিত্তের উপর নতুন করে কোনো কর আরোপ করেনি।
মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা
আসলে দীর্ঘদিন ধরে মধ্যবিত্তদের বিশ্বাস, দেশে করের একটি বিশাল বোঝা তাদের উপর পড়ে। কারণ বেতনভোগী শ্রেণীর বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত এবং তাদের উপর করের বোঝা সবচেয়ে বেশি। এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী যদি কর অব্যাহতি বা অন্য কোনো মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেন, তা হলে সেটা হতে পারে তাদের জন্য বড়ো উপহার। এখন দেখার, সাধারণ জনগণ, রাজ্য সরকার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রত্যাশা পূরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী!
আরও পড়ুন: সুখবর শোনাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্ব, বাজেটের আগে তবু আশঙ্কায় ভারতীয় অর্থনীতি