নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার শুরু বাজেট অধিবেশন। বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার আগে, এ দিন ‘ইকোনমিক সার্ভে’ বা অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটের ঠিক একদিন আগে এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রাক-বাজেট নথি পেশ করেছেন এ দিন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টের মূল বিষয়গুলি।
*২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশ। যা এই অর্থবর্ষে ৭ শতাংশ এবং গত বছরের ৮.৭ শতাংশের চেয়ে অনেকটাই কম।
*নামমাত্র বাড়বে জিডিপি। ব্যক্তিগত খরচ, ছোটো ব্যবসায় ঋণ বৃদ্ধি, শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তন এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির শক্তিশালী ব্যালেন্সশিটের উপর নির্ভর করে যা বাড়তে পারে ১১ শতাংশ।
*ক্রয় ক্ষমতা সমতা বা পিপিপি-র দিক থেকে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, বিনিময় হারের দিক থেকে পঞ্চম বৃহত্তম।
*করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কাঁটা পেরিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে ভারত।
*অতিমারির ফলে ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তুলনামূলক ভাবে দ্রুত এগিয়েছে ভারত।
*ঊর্ধ্ব লক্ষ্যসীমার বাইরে ৬.৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অনুমান রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যা ব্যক্তিগত খরচ রোধ করার জন্য খুব বেশি নয়, আবার বিনিয়োগ প্রবণতাকে দুর্বল করার জন্যও খুব একটা কম নয়।
*ঋণের সুদের হার আরও বেশি সময় ধরে উঁচুতে থাকতে পারে। দীর্ঘায়িত হতে পারে মুদ্রাস্ফীতি।
*মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের হার বৃদ্ধির কারণে ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নের চ্যালেঞ্জ অব্যাহত থাকতে পারে।
*রাজস্ব ঘাটতি আরও প্রসারিত হলে ভারতীয় মুদ্রার উপর চাপ বাড়তে পারে।
*সামগ্রিক বাহ্যিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
*বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় ভারতের মুদ্রাস্ফীতি সহনশীলতা সীমার খুব একটা উপরে যায়নি।
*চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে রফতানিতে বৃদ্ধির হার খুবই কম। উৎপাদনে বৃদ্ধি ধরা পড়েছে।
*পিএম কিসান, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে দারিদ্র্য কমাতে সহায়ক হয়েছে।
*আবাসনের দাম বেড়েছে।
*বৃদ্ধিতে ছেদ না পড়েনি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতা।
*স্টক মার্কেট থেকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহারের হার বাড়লেও ইতিবাচক রিটার্ন মিলেছে।
*বেশির ভাগ দেশের তুলনায় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উতরে গিয়েছে ভারত।
*মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে।
*চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। শহুরে কর্মসংস্থানের হার হ্রাস পেয়েছে। তবে ইপিএফও সদস্য বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সমীক্ষা একটি প্রাক-বাজেট নথি বলা যেতে পারে। এটি তৈরি করেন অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: শেয়ারে ব্যাপক ধস, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ ধনীর তালিকা থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি