ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency) সম্পর্কিত জালিয়াতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ৯৫৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। এমনই তথ্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।
ভার্চুয়াল সম্পদ ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শনাক্ত ও নিরীক্ষণ করার ব্যপারে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচারের জন্য ভার্চুয়াল সম্পদের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্রশমিত করতে বেশ কিছু সংশোধনী করেছে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)।
ডিএমকে সাংসদ ভেলুসামি পি-র এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। তিনি বলেন, “২০১৩ সালে থেকে আরবিআই পাবলিক নোটিশের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কারেন্সি (VC) ব্যবহারকারী, ধারক এবং ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে আসছে। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভিসি-তে লেনদেন সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, আর্থিক, অপারেশনাল, আইনি, গ্রাহক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে”।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের (virtual digital asset) সঙ্গে জড়িত লেনদেনের মামলা ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ (PMLA) বা টাকা পাচার প্রতিরোধ আইনের ধারায় পরিচালিত হবে। এই পদক্ষেপটি ডিজিটাল সম্পদের তদারকি কঠোর করার জন্য সরকারের নেওয়া সর্বশেষ যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গেজেটে বিনিয়োগকারীদের “একটি ইস্যুকারীর অফার এবং ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের (VDA) বিক্রয় সম্পর্কিত আর্থিক পরিষেবাগুলিতে অংশগ্রহণ এবং শর্তগুলির বিরুদ্ধে” সতর্ক করেছে মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের বিনিময় এবং স্থানান্তরও পিএমএলএ আইনের আওতায় পড়বে।
আয়কর আইন অনুসারে, ক্রিপ্টোগ্রাফিক উপায়ে বা অন্যথায় তৈরি যে কোনো তথ্য, কোড, নম্বর বা টোকেন (ভারতীয় মুদ্রা বা বৈদেশিক মুদ্রা নয়)-কে ‘ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তা সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ-এর একই অর্থ থাকবে যা ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের অনুচ্ছেদ ২-এর ধারা (৪৭এ)-তে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ককে ত্রাণ প্যাকেজ দিতে নারাজ মার্কিন সরকার!