Connect with us

খবর

করোনা চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতি, তবে নামতে পারে বৃদ্ধির হার

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বৃদ্ধির হার। যা শেষ তিন বছরে সবচেয়ে কম।

Published

on

নয়াদিল্লি: সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার ঠিক আগের দিন পেশ করা এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বৃদ্ধির হার। যা শেষ তিন বছরে সবচেয়ে কম।

বর্তমান আর্থিক বছরে ৭ শতাংশে রয়েছে বৃদ্ধির হার। ২০২১-২২ সালে অর্থনীতি ৮.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে সমীক্ষা অনুসারে, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হয়ে থাকবে।

সরকার প্রতি বছর বাজেটের একদিন আগে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা এমন এক সময়ে এসেছে যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এ বারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পিপিপি (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বিনিময় হারের দিক থেকে এটি পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ভারতীয় অর্থনীতি স্থির ভাবে উন্নতি করছে এবং করোনার সময় যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকাংশে পূরণ করা হয়েছে। থমকে যাওয়া উন্নয়ন কাজ আবার শুরু হয়েছে।

একই সময়ে, সুদের হার আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের। যা ভারতীয় রুপির চ্যালেঞ্জকে অব্যাহত রাখছে। মহামারি থেকে ভারতের পুনরুদ্ধার তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে মূলধন বিনিয়োগের দরকার। যাইহোক, চলতি হিসাবের ঘাটতি প্রসারিত হতে পারে কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির ফলে রুপির উপর চাপ অব্য়াহত থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, এ দিন রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। যৌথ কক্ষতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে অর্থমন্ত্রী সংসদে পড়েন আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। তাতে চলতি বছর দেশের অর্থনীতির হাল কেমন গেল, তার ইঙ্গিত মিলেছে।

আরও পড়ুন: ৬ মাসের সর্বোচ্চ! কী কারণে বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার

Advertisement