শেষ কবে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে আপনি ২০০০ টাকার নোট পেয়েছিলেন? বেশির ভাগ মানুষই বলবে, মনে করতে পারছি না। গোলাপি নোট এখন কার্যত বিরল হয়ে পড়েছে। কেন?
আরবিআই কি নিষেধ করেছে
বাজারে কিন্তু পুরোদস্তুর প্রচলিত রয়েছে ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু এটিএম-এ কেন মিলছে না, এমন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বহুবিধ জল্পনা রয়েছে। কারও কারও মতে, আরবিআই না কি ব্যাঙ্কগুলিকে এটিএম-এর মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট দিতে নিষেধ করেছে। যদিও সরকারি ভাবে এই যুক্তিকে দৃঢ় ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ব্যাঙ্কগুলিকে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে, সাংসদ সন্তোষ কুমার অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এটিএম-এর মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট বিতরণ নিষিদ্ধ করেছে কিনা। এই প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে এমন কোনো নির্দেশ দেয়নি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) অটোমেটেড টেলার মেশিনে (ATM) ২০০০ টাকার নোট সরবরাহ না করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে কোনো আদেশ দেয়নি।
হ্রাস পেয়েছে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো
অর্থমন্ত্রী বলেন, অতীতের ব্যবহার, গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রবণতাকে মাথায় রেখে ব্যাঙ্কগুলি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয় এটিএম-এ কত টাকার নোট রাখা হবে।
পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কবে থেকে আরবিআই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো নিষিদ্ধ করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-২০ সাল থেকে ২০০০ টাকার নোট সরবরাহের জন্য কোনো চাহিদা নেই। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও, সরকার সংসদে জানিয়েছিল, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০০০ টাকার নোট ছাপানোর জন্য কোনো নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়নি, তাই ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
কালো টাকায় পরিণত হয়নি তো?
নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটগুলি কি কালো টাকায় পরিণত হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭ সালের মার্চের শেষে,৫০০ এবং ২০০০ টাকার প্রচলিত নোটগুলির মূল্য ছিল ৯.৫১২ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০২২ সালের মার্চ মাসে বেড়ে হয়েছে ২৭.০৫৭ লক্ষ কোটি।