শেয়ারে ব্যাপক ধস, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ ধনীর তালিকা থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি

gautam adani

এ বার বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের তালিকা থেকেও ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভারতীয়, এমনকী এশিয়ারও সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক আদানি দীর্ঘদিন ধরে প্রথম দশে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। প্রভাব পড়েছে সংস্থার শেয়ারে। ফলে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের সবচেয়ে ধনী তালিকার র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশের বাইরে চলে যেতে হল তাঁকে।

আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৮৪৪০ কোটি ডলার। যেখানে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত অ্যামাজনের জেফ বেজোসের মোট সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১৮৯০০ কোটি ডলার। বেজোসই এখন দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী তৃতীয়তম ব্যক্তি। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে,এক বছরে ৩৬১০ কোটির সম্পদ খুইয়েছেন গৌতম আদানি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় তার মোট সম্পদ হ্রাস পেয়েছে ৮২১ কোটি ডলার।

বলে রাখা ভালো, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স ৫০০ জন ধনী ব্যক্তির দৈনিক র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। নিউইয়র্কে প্রতিটি ট্রেডিং দিনের শেষে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান আপডেট করা হয়। তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন লুই ভিতোঁর বার্নার্ড আর্নল্ট এবং তাঁর পরেই রয়েছেন টেসলা, স্পেসএক্স এবং টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক।

মাত্র কয়েকদিন আগেও চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছিলেন গৌতম আদানি। বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে আদানি এখন মেক্সিকোর কার্লোস স্লিম, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন এবং মাইক্রোসফটের প্রাক্তন সিইও স্টিভ বালমারের নীচে রয়েছেন। তাঁর এই অবনমনের অন্যতম কারণ আমেরিকান গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ-এর প্রকাশিত রিপোর্ট। গৌতম আদানির নেতৃত্বে কোম্পানিগুলির শেয়ারে তীব্র পতন শুরু হয়। তার জেরেই সপ্তাহের মধ্যে তিনি ধনীদের তালিকার বাইরে চলে গেলেন। মার্কিন সংস্থার ভয়ানক রিপোর্টের পরেই টলে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার। আর স্টক বাজারে সেই পতনেই নড়ে গিয়েছে গৌতম আদানির মোট সম্পদের অঙ্ক।

আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ এবং ‘অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির’ অভিযোগ তুলেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারা জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তাছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই একধাক্কায় ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় চতুর্থ স্থান থেকে দশের বাইরে চলে গেলেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি।

আরও পড়ুন: ৬ মাসের সর্বোচ্চ! কী কারণে বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.