চলতি বছরের শুরুতেই বদলে গিয়েছে ভারতের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকা। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তালিকার প্রথম দশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম শিল্পপতি গৌতম আদানি। তাঁকে টপকে সবচেয়ে ধনীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন মুকেশ অম্বানি। তার পর থেকে ওঠা-নামা চলছেই।
মঙ্গলবার প্রকাশিত নিজের বিলিয়নেয়ার ২০২৩ তালিকায় ফোর্বস বলেছে, ভারত এবং এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে আগের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি। মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। তাদের বিরুদ্ধে কৃত্রিম ভাবে শেয়ারের বাজারে নিজেদের শেয়ারের দর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ আনার পরে গৌতম আদানির সম্পদে চওড়া পতন দেখা দেয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর হু হু নেমেছে তাঁর শেয়ারের দর।
বিশ্বের বিলিয়নেয়ারদের তালিকা অনুযায়ী, ৮৩৪০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে ৯ নম্বরে ছিলেন মুকেশ অম্বানি। অন্য দিকে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ২৪ নম্বরে রয়েছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪৭২০ কোটি ডলার। তবে বুধবার অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে রীতিমতো।
ফোর্বস বলেছে, ২৪ জানুয়ারিতে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি, যখন তাঁর সম্পদমূল্য প্রায় ১২৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট আসার পর দিনই, তাঁর কোম্পানিগুলির শেয়ার আচমকা হ্রাস পেয়েছে”।
মাইক্রোসফটের স্টিভ বলমার, গুগলের ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ এবং ডেল টেকনোলজিসের মাইকেল ডেলের চেয়ে কিছুটা নীচে রয়েছেন অম্বানি।
আরও পড়ুন: আধারে ঠিকানা আপডেট করতে চান? ধাপে ধাপে জানুন প্রক্রিয়া