বাজেটে অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে ডিজিটাল রুপি

Nirmala budget

নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই ডিজিটাল কারেন্সি বা সিবিডিসি (CBDC) নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। সম্প্রতি, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক পাইলট ‘ডিজিটাল রুপি’ (digital rupee) প্রকল্পও চালু করেছে। বর্তমান পাইলট প্রকল্প থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রকল্পটিকে আরও প্রসারিত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

অর্থের ভবিষ্যৎ

সিবিডিসি পাইলট প্রকল্প চালুর পর আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সাম্প্রতিক মন্তব্যে স্পষ্ট, এই পদক্ষেপ বল জোগাতে পারে ‘ডিজিটাল রুপি’-কে। একটি সাম্প্রতিক ইভেন্টে তিনি বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির জারি করা ডিজিটাল মুদ্রাগুলি হল অর্থের ভবিষ্যৎ এবং এটি গ্রহণ করলে লজিস্টিক এবং মুদ্রণ খরচ বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে”।

১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই আবহে শিল্প পর্যবেক্ষকরা ডিজিটাল রুপির বিষয়ে কিছু ঘোষণার প্রত্যাশা করছেন। তাঁদের মতে, এ বারের বাজেটে অন্যতম আলোচনার বিষয়গুলির মধ্যে একটি ডিজিটাল রুপি। সিবিডিসির জন্য অফলাইন, ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট (cross-border payment) এবং ডিজিটাল সম্পদ ইকোসিস্টেম (digital asset ecosystem) সক্ষম করার ব্যবস্থা ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

কমবে ঝক্কিও

শেষ বার বাজেট অধিবেশনে বক্তৃতা করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “ডিজিটাল রুপি আরও দক্ষ এবং সস্তা মুদ্রা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাবে”। এর ফলে দেশের টাকা ছাপার খরচ কমবে। কিন্তু টাকার উপর শীর্ষ ব্যাঙ্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এর ফলে নগদ বয়ে বেরানোর ঝক্কিও থাকবে না। প্রথাগত নগদের লেনদেনের উপর সরকারের নজরদারি যেমন কঠিন, তা কিন্তু এই লেনদেনে থাকবে না।

প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, ডিজিটাল রুপির ব্যবহারে নগদ ছাপানোর খরচ কমবে। পাশাপশি নগদে লেনদেনের উপর নজর রাখাও সহজ হবে। আমরা যে নোট লেনদেনের জন্য ব্যবহার করি তার ডিজিটাল রূপ এটা। এর জন্য ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি নয়। এই টাকা ম্যানিব্যাগের বদলে থাকবে আপনার মোবাইলের ডিজিটাল ওয়ালেটে।

বাহামাস, সেন্ট কিটস, গ্রেনাডা, অ্যান্টিগার মতো কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে ই-মুদ্রা। রাশিয়ায় পরীক্ষামূলক ব্যবহার শেষ হয়ে সবার ব্যবহারের জন্য চালু হওয়ার রাস্তা। চিনও তৈরি। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.