‘মধ্যবিত্তের চাপ’ বোঝেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটের কয়েক দিন আগেই সে কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সংসদে বাজেট পেশ করে নিজের মন্তব্যের প্রতি কিছুটা হলেও সদ্ব্যবহার করলেন অর্থমন্ত্রী। বিশেষত, আয়করে বিপুল ছাড়ে স্বস্তি মিলল মধ্যবিত্তের।
অর্থমন্ত্রী এ দিন ঘোষণা করেন, নতুন কর কাঠামোয় (new income tax regime) আয়কর আইনের ধারা ৮৭এ-র অধীনে রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মৌলিক ছাড়ের সীমা (Basic exemption limit) ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ৩-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ আয়কর। ৬-৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ আয়কর। কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। যা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হতো ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। বছরে আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তা হলে ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে কর।
নতুন আয়কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর স্ল্যাব:
ক) ০ থেকে ০ লক্ষ টাকা – ০ শতাংশ আয়কর
খ) ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা – ৫ শতাংশ আয়কর
গ) ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকা – ১০ শতাংশ আয়কর
ঘ) ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা – ১৫ শতাংশ আয়কর
ঙ) ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা – ২০ শতাংশ আয়কর
চ) ১৫ লক্ষ টাকার উপরে – ৩০ শতাংশ আয়কর
বলে রাখা ভালো, এ বারের বাজেটে বেতনভোগী এবং পেনশনভোগীদের জন্য নতুন কর ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন চালু করা হয়েছে। নতুন কর ব্যবস্থাকে আকর্ষণীয় করে তোলার যাবতীয় উপকরণ সাজানো হলেও আয়করদাতার কাছে পুরনো আয়কর ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাশা অনেক! বাজেট আবহে তুঙ্গে শেয়ার বাজার