আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-এ লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ এ বারের বাজেট। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের আগে বাজেটে থাকতে পারে একাধিক চমক। সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রকের বিভিন্ন সরকারি দফতরের পাঠানো এমন একাধিক প্রস্তাব কেন্দ্রের বিবেচনায় রয়েছে, যেগুলি মধ্যবিত্তের জন্য বড়োসড়ো স্বস্তির হাওয়া বয়ে আনতে পারে।
এ বারের বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করা হতে পারে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আয়কর ছাড়ের প্রাথমিক সীমা নির্ধারণ করেছিল আড়াই লক্ষ টাকা। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পেশ করা বাজেটের সেই সীমা আর বাড়ানো হয়নি। ২০১৯ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডিকাকশন ৫০ হাজার টাকায় রয়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ হারের মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনায় রেখে সেই সীমা এ বার বাড়ানো যেতে পারে। বিশেষত, বেতনভোগী মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে আয়কর ছাড়ের সীমা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো দরকার।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য মধ্যবিত্তের মনে প্রত্যাশা বাড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি মধ্যবিত্তের উপর এই চাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাঁর কথায়, “আমিও মধ্যবিত্ত, তাই আমি এই শ্রেণীর চাপ বুঝতে পারি। আমি নিজেকে মধ্যবিত্তের সঙ্গে বিবেচনা করি, তাই আমি জানি।”
একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “আমি এই সমস্যাগুলি বুঝি। সরকার তাদের জন্য অনেক কিছু করেছে এবং ক্রমাগত করেও চলেছে।”
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩: রেলপথ, রাস্তার জন্য বাড়তি বরাদ্দের প্রত্যাশা