সামনেই কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2023)। আশা, কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হবে সেখানে। বাড়ানো হবে পরিকাঠামোয় লগ্নি। সেখানে সরকার খরচ বাড়ালে দেশে কাজ তৈরি হবে। বেকারত্ব কমবে। বাড়বে সিমেন্ট, ইস্পাতের চাহিদা। ভবিষ্যতে বাজারের অভিমুখ কোন দিকে থাকবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে সংস্থার আর্থিক ফল, বাজেট, বিশ্ব বাজারের অবস্থা এবং বিদেশি লগ্নি আসার উপরে।
কার কত লাভ
অক্টোবর-ডিসেম্বরের আর্থিক ফল বেরিয়েছে কিছু সংস্থার। টিসিএসের (TCS) নিট লাভ ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০,৮৪৬ কোটি টাকা। ইনফোসিসেরও (Infosys) বেড়েছে, হয়েছে ৬৫৮৬ কোটি, উইপ্রোর (Wipro) ৩০৫২ কোটি টাকা। তা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে এইচসিএল টেকনোলজ়িসের (HCL Technologies)। নিট মুনাফা ১৮.৫ শতাংশ বেড়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কেরও (HDFC Bank)। শেয়ার পিছু ৭৫ টাকা ডিভিডেন্ড দেবে টিসিএস।
দেশীয় অর্থনীতিতে জোড়া সুখবর
আমেরিকা এবং ব্রিটেন-সহ পশ্চিমের কিছু দেশে আরও সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কা এবং মন্দাভাব প্রকট হওয়ায় মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার সেনসেক্স (Sensex) নেমেছে মোট ৭৮৯ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে জানা যায়, ডিসেম্বরে দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.৭২ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। এই নিয়ে টানা দু’মাস তা রইল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনসীমার (৬ শতাংশ) নীচে। অন্য দিকে, নভেম্বরে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ৭.১ শতাংশ হারে। অক্টোবরে সঙ্কুচিত হয়েছিল ৪.২ শতাংশ। এই জোড়া সুখবরে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট নিয়ে আশঙ্কা কিছুটা ঝেড়ে ফেলে শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। সেনসেক্স ৩০৩ পয়েন্ট উঠে থামে ৬০,২৬১ অঙ্কে।
কী করতে পারে আরবিআই
যদিও এটা মনে করার কারণ নেই যে, সুদ বৃদ্ধির পথ থেকে এখনই সরে আসবে আরবিআই (RBI)। কারণ, মূল্যবৃদ্ধি এখনও যথেষ্ট চড়া। তার উপর শীতে আনাজের মতো খাদ্যপণ্যের দাম কমে। ফলে আগামী দিনে তা ফের বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছেই। সুদের হার তাই আরও কিছুটা বাড়াতে পারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank) নীতি নির্ধারণ কমিটি। ৬-৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবে তারা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের পরিস্থিতি ভাল। তবে বিশ্ব অর্থনীতি (World Economy) যে দিকে এগোচ্ছে তাতে রাশ আলগা করলে চলবে না। বিশেষত দেশে বেকারত্ব যে হেতু চড়া। বহু সংস্থায় নিয়োগ থমকে। অ্যামাজ়ন (Amazon), মেটা (Meta), গুগ্ল-সহ (Google) বড় মাপের কিছু আমেরিকান সংস্থার কর্মী সঙ্কোচনের আঁচও পড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় মন্দা এলে মার খেতে পারে রফতানি। যা ইতিমধ্যেই শ্লথ হয়েছে। এতেও কাজ হারাতে পারেন অনেকে। অর্থাৎ অবস্থা তেমন স্বস্তিজনক নয়। যে কারণে অস্থির থাকতে পারে শেয়ার বাজার।
আরও পড়ুন: কমছে আমদানি, বাড়ছে সোনায় লগ্নি, বেড়েই চলেছে হলুদ ধাতুর দাম
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.