সেনসেক্সে ৫০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন, শেয়ার বাজারে বিক্রির হিড়িক কী কারণে

Stock Market Buy Sell

বুধবার শেয়ার বাজারে বিক্রির হিড়িক। যে কারণে বিশ্ববাজারে উন্নতি সত্ত্বেও এ দিন ভারতীয় বাজারের মূল সূচকগুলি হ্রাস পেয়েছে।

এসএন্ডপি বিএসই সেনসেক্স ৫২২.৮২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৬৪,০৪৯.০৬-এ স্থির হয়েছে, যেখানে এনএসই নিফটি ফিফটি ৫০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে১৯,১২৬.৬০-এ বন্ধ হয়েছে। এই মন্দা বৃহত্তর অভ্যন্তরীণ বাজার সূচকেও প্রসারিত হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, অস্থিরতার কারণেই এ দিনের পতন।

মার্কিন বন্ডের ফলন ৫ শতাংশ স্পর্শ করায় শেয়ার বাজারে বিক্রির হিড়িক শুরু হয়ে যায়। অন্য দিকে, কয়েক দিন ধরেই অপেক্ষাকৃত কম দামে কেনা শেয়ার একটু উপরে বেচে দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল বাজার। মার্কিন বন্ডের রেকর্ড ফলন, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত ইত্যাদিকে সামনে রেখে সেই সুযোগটাও মিলে যাচ্ছে। তবে এটা কোনো সুদূরপ্রসারী আতঙ্কের কারণ হবে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

আজকের লেনদেনে, আইটি, ব্যাঙ্কিং, ফার্মা, এফএমসিজি, এনার্জি, মিডিয়া, হেলথকেয়ার, তেল ও গ্যাস এবং কনজিউমার ডিউরেবলস সেক্টরের শেয়ারের পতনের মুখ দেখেছে। যেখানে শুধুমাত্র মেটাল সেক্টরের শেয়ার সবুজে বন্ধ হয়েছে। পিএসইউ ব্যাঙ্কগুলির সূচকও বেড়েছে। তবে, নিফটি ব্যাঙ্কিং সূচক ৩২০ পয়েন্ট কমে ৪২,৮৩২-এ বন্ধ হয়েছে। নিফটি ব্যাঙ্কের ১২টির স্টকের মধ্যে ৮টি স্টক লাল হয়ে বন্ধ হয়েছে।

এ দিনের পতনের কারণে বিএসই বাজার মূলধন আবারও কমেছে। আজ বাজারের সমাপ্তিতে, বিএসই-র মার্কেট ক্যাপ ৩০৯.৩৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে গত ট্রেডিং সেশনে এটি ছিল ৩১১.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ আজকের বাণিজ্যে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

পাশাপাশি, সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অক্টোবর মাসে ভারতীয় ইক্যুইটি থেকে ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতে এফপিআই-এর বিনিয়োগের গতিপথ বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হারের গতিশীলতা এবং ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের পরিস্থিতি ও তীব্রতা থেকে প্রভাবিত হবে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ধরনের ঘটনাগুলি ভারতের মতো উদীয়মান বাজারে বিদেশি পুঁজির প্রবাহকে বরাবরই প্রভাবিত করে।

আরও পড়ুন: লেনদেনের দিক থেকে ডেবিট কার্ডের চেয়ে ভালো ক্রেডিট কার্ড! জানুন কেন

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.