চলতি অক্টোবর মাসে ভারতীয় ইক্যুইটি থেকে ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPI)। প্রাথমিক ভাবে মার্কিন বন্ডের ফলন এবং ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের ফলে অনিশ্চিত পরিবেশের কারণেই এই বিশাল অঙ্কের লগ্নি প্রত্যাহার। তবে, ডিপোজিটরির তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে এফপিআইগুলি ভারতীয় বাজারে ৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতে এফপিআই-এর বিনিয়োগের গতিপথ বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হারের গতিশীলতা এবং ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের পরিস্থিতি ও তীব্রতা থেকে প্রভাবিত হবে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ধরনের ঘটনাগুলি ভারতের মতো উদীয়মান বাজারে বিদেশি পুঁজির প্রবাহকে বরাবরই প্রভাবিত করে।
অর্থাৎ, ভারতীয় বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের সাম্প্রতিক মন্দার মূল কারণ হল ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা। এক দিকে দীর্ঘ দিন ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত, অন্য দিকে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে নতুন করে উদ্ভুত আশঙ্কা। শুধু ভারত নয়, এ ধরনের ঘটনাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করেছে। তার উপর রয়েছে, মার্কিন বন্ডের তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি, ১৯ অক্টোবর ১৭ বছরের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে পৌঁছেছে যা।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণা, এমন অনিশ্চয়তার মাঝে সোনা এবং মার্কিন ডলারের মতো নিরাপদ ঠিকানায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এরই মধ্যে আশার কথা, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা, ভারতীয় বন্ডে আকর্ষণীয় ফলন এবং রুপির স্থিতিশীলতার প্রত্যাশার কারণে এফপিআইগুলি ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগেও মন দিচ্ছে। ৫,৭০০ কোটির বিনিয়োগ যার বড়োসড়ো প্রমাণ।
ডেবট মার্কেটে বিনিয়োগ পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া হিসাবে এফপিআইগুলির গতিশীল বিনিয়োগ কৌশলগুলিকে প্রতিফলিত করে। কারণ তারা একটি সম্পদ শ্রেণি থেকে অন্যটিতে নজর ঘোরায়। ইক্যুইটিতে মোট এফপিআই বিনিয়োগ যেখানে ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, সেখানে এ বছর ঋণ বাজারে বিনিয়োগ এসেছে ৩৫,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে গৃহঋণে সাশ্রয়ের সুযোগ, এই ৫টি সুবিধা নিতে পারেন