নভেম্বরেও ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার অব্যাহত। পরিসংখ্যান বলছে, দেশীয় ইকুইটি বাজার থেকে বড়ো অংকের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPI)। ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (NSDL)-এর তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে এখনও পর্যন্ত দেশীয় ইক্যুইটি বাজার থেকে ৫.৮০৬ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এফপিআইগুলি।
২০২৩ সালের প্রথম দিকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার শুরু হলেও গত মার্চ মাস থেকে এফআইগুলি ভারতীয় বাজারে নিট বিনিয়োগকারী ছিল। এই ধারাবাহিকতা টানা সাত মাস অর্থাৎ মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত, প্রতি মাসে ৪০ হাজার কোটি টাকা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করেছে এফপিআইগুলি। কিন্তু এর পরে, ইক্যুইটি বাজার থেকে ফের প্রত্যাহার শুরু করে, যা টানা তৃতীয় মাসে অব্যাহত রয়েছে।
গত অক্টোবর মাসেও ভারতীয় ইক্যুইটি থেকে ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ তুলে নিয়েছিল বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা। প্রাথমিক ভাবে মার্কিন বন্ডের ফলন এবং ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের ফলে অনিশ্চিত পরিবেশের কারণেই এই বিশাল অঙ্কের লগ্নি প্রত্যাহার। তবে, ডিপোজিটরির তথ্য অনুসারে, ওই সময়ের মধ্যে এফপিআইগুলি ভারতীয় বাজারে ৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক খাতে এফপিআইগুলির ক্রমাগত বিক্রি ব্যাঙ্কিং স্টকগুলির মূল্যায়নকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এটি দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে শেয়ারবাজারে উত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে, যেমনটি গত পাঁচটি সাধারণ নির্বাচনের সময় হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চমৎকার ফলাফল এবং ভালো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, আর্থিক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছে। অনিশ্চয়তার এই সময়ে, ঝুঁকিমুক্ত ইউএস বন্ড ফলনের নিরাপত্তা খুঁজছে তারা। ১০ বছরের ইউএস বন্ডের ফলন ৪.৬৪ শতাংশের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: পিপিএফ-এর নতুন নিয়ম: অ্যাকাউন্টের অকাল বন্ধে সুদের হিসাবে পরিবর্তন