প্রধানমন্ত্রী ফসাল বিমা যোজনা (PMFBY) পোর্টালকে একটি বিস্তৃত প্ল্যাটফর্মে সম্প্রসারণের জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত দুই সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, পুকুর, ট্রাক্টর, পশুসম্পদ এবং তাল গাছের মতো সম্পদকে বিমার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে এই উদ্যোগ।
জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগটি এআইডিই (AIDE) অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যা জুলাই মাসে চালু হয়েছে। ঘরে ঘরে তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে কৃষকদের জন্য শস্য বিমা আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তুলতেই এই পদক্ষেপ। লাইভ মিন্ট-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে, বিমা মধ্যস্থতাকারীরা শুধুমাত্র কৃষকদের শস্য বিমার জন্য নথিভুক্ত করবে না, একইসঙ্গে ভর্তুকিহীন প্রকল্পগুলির জন্য ৪ কোটি কৃষককের জন্যও কভারেজ প্রসারিত করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। এটি একটি পোর্টাল থেকে একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হবে। ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য রয়েছে এআইডিই অ্যাপ। এর মাধ্যমে বিমা মধ্যস্থতাকারীরা কৃষকদের ফসল বিমার জন্য তালিকাভুক্ত করে। এখানে তারা প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার জন্য কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করে। তবে, এটি একটি ভর্তুকিযুক্ত প্রকল্পের নথিভুক্তকরণ। কিন্তু কৃষকরা তাঁদের অন্যান্য গ্রামীণ পণ্যগুলির জন্যও সুরক্ষা চাইছেন। যেগুলিতে ভর্তুকি দেওয়া হয় না। পোর্টালটিকে একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করা হলে, কৃষকরা তাঁদের ভর্তুকিহীন কৃষি সম্পদের জন্যও বিমা কভারেজ পেতে সক্ষম হবেন”।
বলে রাখা ভালো, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বা পিএমএফবিওয়াই হল সরকার সমর্থিত শস্য বিমা প্রকল্প। যেখানে সমস্ত অংশীদারকে একত্রিত করা হয়। নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগ, যেমন ইয়েস-টেক, উইন্ডস পোর্টাল এবং এআইডিই অ্যাপের সমন্বয় করা হয়েছে। যা ভারতে শস্য বিমার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’হাজার বাতিল, হাজার টাকার নোট কি আবার ফিরছে?